সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান স্টনিয়ারের

ছবি: ছবিঃ ফাইল ছবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
বাংলাদেশকে প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ এসে দিয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ এর যুবারা। তাদের এই বিশ্বজয়ের নেপথ্য কারিগর হিসেবে ছিলেন ফিটনেস কোচ রিচার্ড স্টনিয়ার। ড্রেসিংরুম থেকে শুরু করে ডাগ আউট পর্যন্ত তাঁর চনমনে পদচারণা আত্মবিশ্বাস এবং মনোবল বাড়াতে বেশ ভূমিকা রেখেছিল আকবর-সাকিবদের।
করোনার প্রভাবে বন্ধ রয়েছে বিশ্বের সকল ক্রিকেটীয় ইভেন্ট। বাংলাদেশেও বন্ধ রয়েছে ২২ গজে খেলোয়াড়দের আনাগোনা। লম্বা বিরতিতে প্রায় সবাই অধৈর্য্য হয়ে পড়েছেন। সবার মনেই একটি প্রশ্ন; কবে স্বাভাবিক হবে সবকিছু।

বিশ্বের এমন ভীতিকর অবস্থায় সবাইকে ধৈর্য্য ধারণের পরামর্শ দিয়েছেন স্টনিয়ার। বলেছেন সংকটময় এমন পরিস্থিতিতে এই মহামারীর বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে লড়াই করতে। তবেই আসবে কাঙ্ক্ষিত জয়।
সম্প্রতি ক্রিকফ্রেঞ্জিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে স্টনিয়ার বলেন, 'আমরা সবাই স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে যেতে মরিয়া হয়ে রয়েছি। আমদের একসাথে এই মহামারী বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। আমরা জয় পাবই। তবে আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে।'
সেই সঙ্গে স্টনিয়ার মনে করেন যেভাবে তিনি তাঁর শিষ্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, তাতে সব কিছু ঠিক হবার পর খুব একটা সময় লাগবে না ক্রিকেটারদের আগের অবস্থায় ফিরে যেতে। মাঠে খেলা না থাকায় ক্রিকেটাররা পিছিয়ে যায়নি। বরং তাঁরা দিনকে দিন আরও উন্নতি করছে।
স্টনিয়ার এ প্রসঙ্গে বলেন, 'তারা যেভাবে আমার সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে সেটি সচরাচর যেভাবে করে তাঁর থেকে সম্পুর্ণ ভিন্ন। তারা আমার সাথে অনলাইনে গত ১০-১১ সপ্তাহ ধরে ধারাবাহিকভাবে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে, তারা বাইরে গেলে তারা অনুভব করবে না যে তারা পিছিয়ে গেছে। তারা দু'বছর আগে যেখানে ছিল তারা এখন আরও অনেক ভাল অবস্থানে রয়েছে।'
'আশা করি দক্ষতার কাজের বাইরে তিন-চার সপ্তাহের ভাল প্রশিক্ষণ, প্রস্তুতি, কৌশল তারা পরবর্তী চার-ছয় সপ্তাহ ধরে খেলার মাঠে থাকতে পারে, ইনশাআল্লাহ এবং আশা করি আমরা ভাল থাকব। তবে তাদের জন্য আমার কোন উদ্বেগ নেই কেননা তাঁরা খুব বুদ্ধিমান, খুব মেধাবী, খুব পরিপক্ক, শ্রদ্ধেয় এবং তারা নিজের শরীর সম্পর্কে বেশ ভাল ভাবেই জানে। আমাদের কোন তাড়াহুড়া নেই এবং আমরা যথাসময়ে জায়গামতো পৌঁছে যাব।'