কয়েক বছর ধরে ডিসেম্বরে অর্থাৎ শীতের সময়ে অনুষ্ঠিত হয়ে বিসিএল। ঘরোয়া ক্রিকেটের নতুন সূচিতে বিসিএলকে সরিয়ে আনা হয়েছে এপ্রিল-মে মাসে। বিসিএলের পুরনো সময়ে আয়োজন করা হবে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি সংস্করণ। চলমান ডিপিএল শেষ হওয়ারই মাঠে গড়ানোর কথা ছিল বিসিএলের এবারের আসর।
যদিও টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য ভেন্যু পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আকরাম। ডিপিএলের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় দল। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ভেন্যু ব্যস্ত থাকবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ও ইমার্জিং দলের সিরিজ নিয়ে। যে কারণে বিসিএল আয়োজনের জন্য ভেন্যু পাচ্ছে না টুর্নামেন্ট কমিটি। এক প্রকার বাধ্য হয়ে মে মাস থেকে জুনে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বিসিএল। ম্যাচগুলো হতে পারে ঢাকা, চট্টগ্রাম কিংবা সিলেটে।
এ প্রসঙ্গে টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম বলেন, ‘গত মাসে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। কয়েকটি দল আসছে- 'এ' দল, ইমার্জিং দল। তাই ভেন্যু পাচ্ছি না বিধায় আমরা বিসিএলটা করছি জুনের ১৫ তারিখ থেকে। জুলাইয়ের ২-৩ তারিখে শেষ হবে। আমরা জানি আবহাওয়ার একটু সমস্যা হবে। কিন্তু আমাদের করার কিছু নেই। কারণ সব দিকে তাকিয়েই এটা আমরা করেছি। বিসিএল যেটা শুরু হওয়ার কথা ছিল মে মাসে, সেটা এখন ১৫ জুন থেকে শুরু করছি। ঢাকা, চট্টগ্রাম বা সিলেটে খেলাগুলো হবে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘গত ৬-৭ মাস আগে থেকে আমরা ধরে রেখেছিলাম, বিসিএলটা মে মাসে হবে। কিন্তু দুই-তিনটা সিরিজ ঘরের মাঠে হওয়ায় মাঠগুলো পাচ্ছি না এবং ক্রিকেটারদেরও পাব না। কারণ বিসিএলে আমরা ৮টা বিভাগ থেকে নিয়ে ৪টা দল বানাই। সেই জায়গায় আমরা পারছি না বিধায় জুনে নিয়ে গেছি। ক্রিকেটারদের জন্য একটু কষ্ট হবে। কিন্তু আর কিছু করার নেই।’
বিসিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট হলেও সবশেষ কয়েক বছর ধরে বেশিরভাগ দলই চালাচ্ছে বিসিবি। একটা সময় ওয়ালটন কিংবা ইসলামি ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠান দলগুলো চালালেও ক্রমশই তাদের আগ্রহ কমে গেছে। আকরামের অবশ্য চাওয়া জুনে হতে যাওয়া চার দলের টুর্নামেন্টে বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি আনার চেষ্টা করবেন। সবগুলো সম্ভব না হলেও অন্তত দুই কিংবা একটি বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি আনতে চান তিনি।
আকরাম বলেন, ‘বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি আনার চেষ্টা করব। এটা নিয়ে আলাপ চলছে। বাইরের ২-৩টা প্রতিষ্ঠানের কাছে আমরা যাব। সেই চেষ্টা আমাদের থাকব। আশা করি ২-১টা প্রতিষ্ঠান আসবে।’
২০১৯ সালে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে প্রথমবারের মতো গোলাপি বলের টেস্ট খেলে বাংলাদেশ। যদিও সেবার ভারতের পেসারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি মুমিনুল হক, লিটন দাসরা। তবে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে গোলাপি বলের ব্যবহার হয়েছিল ২০১২-১৩ বিসিএল মৌসুমে। মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সেবার নর্থ জোনের বিপক্ষে খেলেছিল সেন্ট্রাল জোন। গরমের কথা মাথায় রেখে এবারের আসর গোলাপি বলে আয়োজনের প্রচেষ্টা থাকলেও সেখান থেকে সরে এসেছে বিসিবি।
তিনি বলেন, ‘গোলাপি বলের কথা আমরা একবার চিন্তা করেছিলাম। তবে এটা এখন কঠিন। অস্ট্রেলিয়া ছাড়া আর কেউ এখন গোলাপি বলে খেলছে না। এছাড়া এই মুহূর্তে এখন অন্য সমস্যা আছে দেখে আমরা এমনিতে যেভাবে ৪ দিনের ম্যাচ হয়, সেভাবেই খেলা হবে।’