দুইভাবে দিন গুনছেন সাকিব

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক ||
গত বছর ২৯ অক্টোবর ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন সাকিব আল হাসান। এরপর পার হয়ে গেছে প্রায় ৭ মাস। শাস্তি উঠে যাওয়া সময় ঘনিয়ে আসছে বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডারের। এমন সময় দুই ভাবে শেষদিন গুলি গুনছেন সাকিব। কারণ নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে করোনাভাইরাসের কঠিন পরীক্ষাও।
দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে মাঠের খেলা বন্ধ। ফের কবে খেলা মাঠে ফিরবে তাঁর কোনো নিশ্চয়তা নেই। এই ভাইরাসের কারণে পিছিয়ে যেতে পারে আসন্ন বিশ্বকাপও। যা বাংলাদেশের জন্য বড় ইতিবাচক একটি দিক।
বিশ্বকাপ পেছালেই সাকিবকে আইসিসির এই টুর্নামেন্টে পাবে বাংলাদেশ। তবে যে টুর্নামেন্ট বা যে দিনই হোক বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাঠে ফিরতেই মরিয়া হয়ে আছেন।

সাকিব বলেন, 'সাকিবের বলেন, ‘আমি আসলে দুইভাবে দিন গুনছি। প্রথমত, করোনা পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে আর কবে আমার নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে। আমি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। যদিও এখন কোথাও কোন ক্রিকেট হচ্ছে না। আমি জানি, যদি আগামীকাল ক্রিকেট শুরুও হয়, তাও আমি খেলতে পারব না।’
‘আপনাকে যখন কোনকিছু থেকে বিরত থাকতে বলা হয়, তখন অন্য কেউ এ ব্যাপারে কথা বলুক বা না বলুক, আপনার ভেতরে ঠিকই বিষয়টা চলতে থাকে। আপনি নিজেই বলতে পারেন আপনার ভেতরে আসলে কী চলছে।’ তিনি আরও যোগ করেন।
সাকিবের মাঠে ফিরতে আরও ৫ মাস দেরি হলেও এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মাঝে অনুশীলন শুরু করেছে ইংল্যান্ড। পহেলা জুন থেকে শ্রীলংকাও একই পথে হাঁটার কথা ভাবছে। এছাড়া ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির পক্ষ থেকেও দেয়া হয়েছে নানান নির্দেশনা।
এসব নির্দেশনার ব্যাপারে সন্দিহান সাকিব। তাঁর চাওয়া, আইসিসির পক্ষ থেকে আরও স্বচ্ছভাবে বর্ণনা করা হোক নির্দেশনাগুলো। কেননা ক্রিকেট মাঠে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা খুবই কঠিন ব্যাপার।
সাকিব বলেন, ‘আমরা এখন শুনতে পাচ্ছি যে, করোনাভাইরাস ১২ ফুট দূরেও সংক্রমিত করতে পারে, তিন বা ছয় ফুট নয়। তার মানে দুজন ব্যাটসম্যান ওভার শেষে কথা বলতে পারবে না? তারা নিজেদের প্রান্তেই দাঁড়িয়ে থাকবে? মাঠে কোন দর্শক থাকবে না? উইকেটরক্ষকরা আরও দূরে গিয়ে দাঁড়াবে? ক্লোজ ইন ফিল্ডারদের ক্ষেত্রেই বা কী হবে?’
সাবেক এই অধিনায়ক আশাবাদী, কোনধরনের ঝুঁকি নিতে যাবে না আইসিসি, ‘আমার মনে হয় না, পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার আগে আইসিসি কোন ঝুঁকি নেবে। বিষয়টা যাইহোক, জীবন সবার আগে। আমি নিশ্চিত আইসিসিও নিরাপত্তার কথাই আগে দেখবে।’