promotional_ad

রুদ্ধশ্বাস জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

ছবিঃ বিসিবি
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ৪ রানের ব্যবধানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে দিয়ে দীর্ঘ ১০ মাস পর ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।


এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩২২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে জয়ের অনেক কাছে চলে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তাদের ইনিংস থামে ৩১৮ রানে।


ব্যাট হাতে বড় সংগ্রহের পর বোলিংয়েও বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন মাশরাফি এবং শফিউল ইসলাম। সফলতা এসেছে চতুর্থ ওভারেই। জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক রেগিস চাকাভাকে ব্যক্তিগত ২ রানে লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে আউট করেছেন শফিউল।


চিবাবা ফিরে গেলেও বাংলাদেশের বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন টিনাশে কামুনহুকামউইর এবং ব্রেন্ডন টেলর। তবে মেহেদী হাসান মিরাজের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হয়ে ফেরেন টেলর।


এরপর তৃতীয় উইকেটে কামুনহুকামউই জুটি বাঁধেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান শন উইলিয়ামসের সঙ্গে। ১৪ রান করা উইলিয়ামসকে এলবিডব্লিউ করে এই জুটি ভাঙেন মিরাজ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও একপ্রান্ত আগলে রেখে ৬৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন কামুনহুকামউই।


এরপর আরেকটি বড় জুটি গড়েন সিকান্দার রাজা এবং মাধেভেরে। এই দুজনে পঞ্চম উইকেটে যোগ করেছেন ৮১ রান। মাধেভেরে ৫৬ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। তবে তাঁর ইনিংসটি বড় করতে দেননি তাইজুল।


ব্যক্তিগত ৫২ রানে তাকে এলবিডব্লিউ করে ফিরিয়েছেন তাইজুল। এরপর রিচমন্ড মুতুমবামিকে ১৯ রানে এলবিডব্লিউ করে তৃতীয় উইকেট তুলে নিয়েছেন বাঁহাতি এই স্পিনার।



promotional_ad

৮ ওভারের প্রথম স্পেলের পর আক্রমণে ফিরে সিকান্দার রাজার তোপের মুখে পড়েছিলেন মাশরাফি। তাঁকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে রাজা থার্ড ম্যানে ৬৬ রান করে ক্যাচ দেন মাহমুদউল্লাহর হাতে।


অষ্টম উইকেটে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হন ডনাল্ড টিরিপানো ও রিচমন্ড মাটুমবোদজি। দুই জনের জুটিতে মাত্র ২৮ বলে এসেছে পঞ্চাশ। দুই জনের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে জয়ের পথেই ছিল জিম্বাবুয়ে। তবে শেষ পর্যন্ত পেরে উঠতে পারেননি তারা।


৩৪ রান করা মাটুমবোদজি শেষ ওভারে আল আমিন হোসেনের বলে লিটনের হাতে ক্যাচ দিলে জয়ের আশা নিভে যায় জিম্বাবুয়ের। টিরিপানো শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ক্যারিয়ার সেরা ৫৫ রান করে।


এই ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ব্যাটিংয়ে নেমে এ দিন উড়ন্ত সূচনা করেন তামিম ইকবাল। তবে দুর্ভাগ্য আরেক ওপেনার লিটন দাসের।


গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান এই ম্যাচে ফিরে যান ১৪ বলে নয় রান করে। তামিমের খেলা শট বোলার কার্ল মুম্বার হাতে লেগে স্টাম্পে লাগে। দাগের বাইরে থাকায় রানআউট হতে হয় লিটনকে।


লিটন ফিরলেও ছন্দে খেলতে থাকেন তামিম। দেখেশুনে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। তামিমের হাফ সেঞ্চুরির আগের ওভারে রানআউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১১তম ওভারে ওয়েসলি মাধভেরের বলটি ডট দেন শান্ত। বল চলে যায় ফিল্ডারের হাতে।


তামিমকে রান নেয়ার জন্য কোনো ডাক দেননি শান্ত। ৪৯ রানে ব্যাটিং করতে থাকা তামিম অপরপ্রান্ত থেকে দৌড়ে স্ট্রাইকে পৌঁছান। অপ্রস্তুত থাকা শান্ত মাত্র ছয় রানে রানআউট হয়ে ফিরে যান।


শান্ত ফেরার পর তামিমের সঙ্গে রান বাড়ানোর দায়িত্ব নেন মুশফিকুর রহিম। দেখেশুনে খেলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৮তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক। ৪৭তম বলে এসেছে মুশফিকের হাফ সেঞ্চুরি। 



হাফ সেঞ্চুরির পর বেশীক্ষণ উইকেটে থাকেননি মুশফিক। মাধভেরের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মুতুমবদজির তালুবন্দি হন তিনি। বিদায় নেয়ার আগে মুশফিক করেন ৫০ বলে ৫৫ রান। তামিম-মুশফিক জুটি দলের রান খাতায় যোগ করেন ৮৭ রান।


মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করেন তামিম। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি তাঁর ১২তম সেঞ্চুরি। আগের সেঞ্চুরিটি করেছিলেন ২৩ ইনিংস ও ১৯ মাস আগে। ১০৬ বলে আসে তামিমের সেঞ্ছুরি।


৩০ বছর বয়সী ওপেনারের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহ গড়েন ১০৬ রানের জুটি। ৫৭ বলে ৪১ রান করে বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহ। তারপর দেড়শ রানের মাইলফলক পার করেন তামিম। দেড়শ রানের মাইলফলক পার করার পর বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি।


১৩৬ বলে খেলা এই ইনিংসে ছিল ২০টি চার ও তিনটি ছক্কার মার। শেষদিকে ঝড় তোলেন মোহাম্মদ মিঠুন। ১৮ বলে ৩২* রান করেন তিনি। একে একে তাঁকে উপযুক্ত সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন মেহেদী হাসান মিরাজ (৫), মাশরাফি বিন মুর্তজা (১) ও তাইজুল ইসলাম (০)।


ফলে তামিমের বিদায়ের পর শেষদিকে রান বাড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন কার্ল মুম্বা ও ডনাল্ড টিরিপানো।


সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ


বাংলাদেশঃ ৩২২/৮ (৫০ ওভার) (তামিম ১৫৮, মুশফিক ৫৫, মাহমুদউল্লাহ ৪১, মিঠুন ৩২*; তিরিপানো ২/৫৫)
 
জিম্বাবুয়েঃ
 ৩১৮/৭ (৫০ ওভার)  
 



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball