৭-৪-২ ফর্মুলায় বিসিবি
ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পেসারদের ইনজুরি কমাতে এবং কর্মদক্ষতা নিয়ন্ত্রণ করতে ৭-৪-২ ফর্মুলা নিয়ে আসছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জাতীয় দলের দক্ষিণ আফ্রিকান ফিজিও জুলিয়ান ক্যালেফাতোর পরামর্শেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
ক্রিকেটবিশ্বে ৭-৪-২ ফর্মুলা অবশ্য নতুন নয়। পেসাররা যাতে সুস্থ থেকে টেস্ট ক্রিকেটে একটানা বোলিং করে যেতে পারে এবং পরিমিত বিশ্রাম নিতে পারে- সেটা নিশ্চিত করতেই এই ফর্মুলা ব্যবহার করে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দলগুলো।
এই প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলার সময় বিসিবির ট্রেনার ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, 'ধরুন সপ্তাহে সাত দিনই অনুশীলনের সূচি আছে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে একজন বোলার চারদিনের বেশি কিছুতেই বোলিং করবে না। এই চারদিন একটানা নয়। পর পর দুই দিনের বেশি বোলিং করবে না, এরপর এক দিন বিশ্রাম নেবে।
বিশ্রাম নিয়ে আবার বোলিং করবে। এই প্রক্রিয়ায় একজন বোলার আজ এবং কাল বোলিং করলে পরশু অবশ্যই বিশ্রাম নেবে। সাত দিনের মধ্যে চার দিন বোলিং, কিন্তু টানা দুই দিনের বেশি নয় বলে এই প্রক্রিয়াকে সংখ্যায় ৭-৪-২ বলা হচ্ছে।'

যে চারদিন বোলিং করবেন পেসাররা, সেটারও একটা ধরাবাঁধা নিয়ম রেখেছে বিসিবি। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনূর্ধ্ব-১৩ পেসারদের দিনে ৩০ বলের স্পেলে ৬০টি বল করতে দেয়া হয়। আর ১৬ বছর বয়সী পেসারদের ৪২ বলের স্পেলে সর্বোচ্চ ১০৮ বল বা ১৮ ওভার বোলিং করতে দেয়া হয়। অর্থাৎ, চার দিনে একজন বোলার ৭২ ওভারের মতো বোলিং করে থাকেন।
যদিও বাংলাদেশের পেসারদের এতো বেশি ওভার করতে হবে না। এদেশের পেসাররা চার দিনে সর্বোচ্চ ৪২ ওভার বোলিং করবেন।
এই ব্যাপারে ইফতেখারুল বলেন, 'অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়া থেকে শুরু করে অনেক কিছুই আমাদের মতো নয়। এটা বিবেচনা করেছি আমরা। জুলিয়ান এই ব্যাপারে রাজি হয়েছে। বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে চারদিনে সর্বোচ্চ ৪২ ওভার পর্যন্ত বোলিং করতে পারবেন একজন পেসার। এর বেশি হলে ঝুঁকি।
এটাকে ভাগ করে দেয়া হবে। কোনোদিন ১২ ওভার, কোনোদিন ১৫ ওভারও হতে পারে। আজ ১৫ ওভার বোলিং করলে কাল কিছু ওভার কম করলেও হবে। টানা দুইদিন বোলিং করার পর বিশ্রাম থেকে ফিরে করতে হবে ১৩-১৫ ওভার। এভাবেই চলবে বলে ঠিক হয়েছে।'
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ/ দ্যা ডেইলি সান