চট্টগ্রামে মালানের ব্যাটিং ঝড়

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সঃ ২৩৮/৩ (২০ ওভার) (ইমরুল ৬২, ওয়ালটন ৭১*; সৌম্য ২/৪৪, মুজিব ১/৩১)
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সঃ ৯৯/৪ (১১ ওভার) (মালান ৫০*, শানাক??? ১*; রানা ৩/১)
মালানের ব্যাটিং ঝড়ঃ ৯০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া কুমিল্লাকে একাই টেনে নিচ্ছেন ইংল্যান্ডের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ডেভিড মালান। চট্টগ্রাম বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে এরই মধ্যে টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই বাঁহাতি। হাফ সেঞ্চুরির পথে ২টি ছক্কা এবং ৫টি চার মেরেছেন তিনি।
রুবেলের প্রথমঃ ইনিংসের দশ নম্বর ওভারে বোলিংয়ে এসে নিজের প্রথম উইকেট তুলে নেন জাতীয় দলের পেসার রুবেল হোসেন। কুমিল্লার ডানহাতি ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলী চৌধুরীকে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের হাতে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠান তিনি। ১৭ বলে এক ছক্কা এবং ২ চারে ২১ রান করেন ইয়াসির।

সাব্বিরের বিদায়ঃ দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরতে ক্রিজে আসেন সাব্বির রহমান। জাতীয় দলের এই ব্যাটসম্যান অবশ্য ব্যর্থ হয়েছেন সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে। মাত্র ৫ রান করে রানার তৃতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। সাব্বিরকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে আউট করেন রানা। সাব্বিরের বিদায়ে ৩২ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারিয়ে বসে কুমিল্লা।
সৌম্য ঝড় থামালেন রানাঃ চট্টগ্রামের দেয়া ২৩৯ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার এবং ভানুকা রাজাপাকশে। এক ছক্কা এবং ২ চারের সাহায্যে মাত্র ৮ বলে ১৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সৌম্য।
কিন্তু দলীয় ২১ রানের মাথায় সৌম্যকে ইমরুল কায়েসের হাতে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠান চট্টগ্রামের পেসার মেহেদি হাসান রানা। একই সঙ্গে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন তিনি। একই ওভারের চতুর্থ বলে রাজাপাকশেকে (৬) বোল্ড করে দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন এই বাঁহাতি পেসার। ফলে ২১ রানের মাথায় ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে কুমিল্লা।
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চ্যাডউইক ওয়ালটনের ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরিতে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে বিশাল সংগ্রহ গড়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩৮ রান করে তারা।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে এটাই যেকোনো দলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এছাড়া বিপিএলের সব আসর মিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ এটি। ওয়ালটন ২৭ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। ৬টি ছক্কা এবং ৫টি চারের সাহায্যে এই ইনিংস সাজান তিনি। এছাড়াও ৪১ বলে একটি ছক্কা এবং ৯টি চারের সাহায্যে ৬২ রান করেন ইমরুল কায়েস।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স একাদশঃ
চ্যাডউইক ওয়ালটন, লেন্ডল সিমন্স, আভিস্কা ফারনান্দো, ইমরুল কায়েস (অধিনায়ক), রুবেল হোসেন, নুরুল হাসান, নাসুম আহমেদ, নাসির হোসেন, মুক্তার আলী, কেসরিক উইলিয়ামস এবং মেহেদী হাসান।
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স একাদশঃ
ভানুকা রাজাপাকশে, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, ডেভিড মালান, দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), ইয়াসির আলী, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, আবু হা্যদার, মুজিব উর রহমান, আল আমিন হোসেন এবং সুমন খান।