পাঁচদিন ব্যাটিং করে ধনঞ্জয়ার সেঞ্চুরি, আবিদের ইতিহাস

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম দিন মাঠে নামেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ৩৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন লঙ্কান এই ওপেনার। এরপর টানা বৃষ্টির কারণে পরবর্তী তিনদিন ব্যাটিংয়ের জন্য সামান্য সময় পেয়েছেন ধনঞ্জয়া।
একটু একটু ব্যাটিং করে অপরাজিত ছিলেন পঞ্চম দিন পর্যন্ত। শেষ দিনে এসে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ধনঞ্জয়া। ডানহাতি এই ওপেনার ১৬৬ বলে ১০২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। এদিন সেঞ্চুরি করে রেকর্ড বইয়ে নাম লিখিয়েছেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান আবিদ আলীও।
ধনঞ্জয়ার সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৩০৮ রান তুলে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ২ উইকেটে পাকিস্তান ২৫২ রান তোলার পর ম্যাচটি ড্র ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।

টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরি করে (২০১ বলে ১০৯) আবিদ আলী গড়লেন অনন্য কীর্তি। ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিকেটের দুটি সংস্করণে অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। গত মার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকেও সেঞ্চুরি করেছিলেন ডানহাতি এই ওপেনার।
১০ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট ফিরেছে। ওয়ানডে মেজাজে সেঞ্চুরি করে পাকিস্তানের জন্য ম্যাচটিকে স্মরণীয় করে রাখতে অবদান রেখেছেন বাবর আজমও। তিনি খেলেছেন ১২৮ বলে ১০২ রানের ইনিংস। যদিও লঙ্কানদের বড় সংগ্রহের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান।
ওপেনার শান মাসুদ ফেরেন রানের খাতা খোলার আগেই। দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক আজহার আলীকে নিয়ে ৮৭ রানের জুটি গড়েন আবিদ। আজহার ফেরেন ৩৬ রান করে। এরপর বাবর-আবিদ মিলে দিনের খেলা শেষ করেন।
পঞ্চম দিনের চা বিরতির পর ১৮৩ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগারে পৌঁছান আবিদ। এর খানিক পরই ১১৮ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন পাকিস্তানের স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান বাবর। দুজনই অপরাজিত থাকেন। আলোক স্বল্পতার কারণে নির্ধারিত সময়ের কিছুক্ষণ আগেই ম্যাচটি ড্র ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৯৭ ওভারে ৩০৮/৬ (ডি.), (করুনারত্নে ৫৯, ওশাদা ৪০, ম্যাথুস ৩১, ধনঞ্জয়া ১০২*; শাহিন ২/৫৮, নাসিম ২/৯২)।
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৭০ ওভারে ২৫২/২, (আবিদ ১০৯*, আজহার ৩৬, বাবর ১০২*; রাজিথা ১/৫, কুমারা ১/৪৬)।