দাপুটে জয়ে বিপিএল শুরু খুলনার

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বড় জয় দিয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরু করেছে খুলনা টাইগার্স। চট্টগ্রামের দেয়া ১৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬.১ ওভার হাতে রেখে জয় তুলে নিয়েছে খুলনা।
মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি খুলনার। ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ৪ রান করে নাসুম আহমেদের শিকার হয়ে ফিরেছেন। এরপর ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন আরেক ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। রানের চাকা সচল রাখছেন রাইলি রুশোও।
গুরবাজ ১৯ বলে ৫০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে মুক্তার আলীর বলে উইলিয়ামসের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন। এটি বিপিএলের ইতিহাসে তৃতীয় দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড। ২০১২ সালে আহমেদ শেহজাদ ১৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন।
দুরন্ত রাজশাহীর বিপক্ষে বরিশাল বার্নার্সের হয়ে। এরপর ২০১৭ বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ১৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে সেই রেকর্ডে ভাগ বসান ঢাকা ডায়নামাইটসে খেলা সেকুগে প্রসন্ন।

গুরবাজ ফিরে গেলে দলকে আর উইকেট হারাতে দেননি অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এবং রাইলি রুশো। এই দুজনে ৭২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। রুশো ৩৮ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। মুশফিক অপরাজি থাকেন ২২ বলে ২৮ রান করে।
এর আগে এই ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন খুলনা টাইগার্স অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরুতে হাত খুলে খেলতে পারেননি চট্টগ্রামের দুই ওপেনার ল্যান্ডেল সিমন্স এবং চ্যাডউইক ওয়ালটন।
দুজনই রানের জন্য হাঁসফাঁস করেছেন। পাওয়ার প্লের পরের ওভারেই চট্টগ্রামের ওপেনার সিমন্সকে ব্যক্তিগত ২৬ রানে সাজঘরে ফেরান খুলনার পেসার শফিউল ইসলাম। এরপর আরেক ওপেনার ওয়ালটনকে (১৮) নিজের শিকার বানান শহিদুল ইসলাম।
দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর দারুণ জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন ইমরুল কায়েস এবং নাসির হোসেন। ব্যক্তিগত ১২ রানে ইমরুল রান আউট হলে এই জুটি ভাঙে। থার্ড ম্যান অঞ্চল থেকে দারুণ এক থ্রোতে ইমরুলকে আউট করেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
এরপর ১৯ রান করা নুরুল হাসান সোহানও আউট হন রান আউট হয়ে। শুরু থেকেই দেখে শুনে খেলছিলেন নাসির। ব্যক্তিগত ২৪ রানে তিনি কট এন্ড বোল্ড হন আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বলে। চট্টগ্রামের অধিনায়ক রায়াদ এমরিট ১ রান করে ফিরেছেন রবি ফ্রাইলিঙ্কের বলে শহিদুলকে ক্যাচ দিয়ে।
এরপর রুবেল হোসনে নিয়ে চট্টগ্রামকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন মুক্তার। একপ্রান্ত আগলে রেখে তিনি খেলেছেন ২ রানের ইনিংস। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪টি ছয়ে। ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন রুবেল হোসেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সঃ ১৪৪/৬ (২০ ওভার) (মুক্তার ২৯*, সিমন্স ২৬, নাসির ২৪, সোহান ১৯; বিপ্লব ১/২৫, ফ্রাইলিঙ্ক ১/২১)
খুলনা টাইগার্সঃ ১২৭/২ (১২ ওভার) (রুশো ৬৪*, মুশফিক ২৮*, গুরবাজ ৫০; নাসুম ১/১৮)