সাকিবকে মনে আছে নিক্সনের

ছবি: ছবি - ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন পল অ্যান্ড্রু নিক্সন। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে পা দিয়েই শীষ্যদের নিয়ে অনুশীলনে নেমে পড়েছেন এই ইংলিশ কোচ। এক পর্যায়ে কথা বলেছেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। তাঁর স্মৃতিচারণে উঠে এসেছে ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ইংল্যান্ড ম্যাচের কথা।
সেই ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছিলেন নিক্সন। ম্যাচটিতে ৪ উইকেটের জয় পেলেও কঠিন লড়াই করতে হয়েছিল ইংল্যান্ডকে। বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের মধ্যে সাকিব আল হাসানের কথা বিশেষ ভাবে মনে আছে তাঁর। সেই ম্যাচে সাকিব কোনো উইকেট না পেলেও ৬ ওভারে ৩৬ রান দিয়েছিলেন মাত্র। ব্যাট হাতে দলের পক্ষে করেছিলেন সর্বোচ্চ রান।

সেই ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৪৭ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সাকিব সর্বোচ্চ ৫৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ১১০ রানেই ৬ উইকেট হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। সপ্তম উইকেটে পল কলিংউড এবং নিক্সন মিলে ইংল্যান্ডকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। কলিংউড ২৩ এবং নিক্সন ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
সেই ম্যাচের স্মৃতিচারণ করে নিক্সন বলেছেন, 'সেই খেলাটি আমার মনে আছে। এটি বার্বাডোসে ছিল। আসলে উইকেটটা দারুণ ছিল। আমার মনে আছে সাকিব এবং স্পিনাররা দারুণ বোলিং করেছিল। খেলাটি অনেক কঠিন ছিল। আমি এবং পল কলিংউড শেষের দিকে ব্যাটিং করছিলাম। আমরা সৌভাগ্যবান ছিলাম, ফলাফল আমাদের পক্ষে এসেছিল। বাকি ছেলেরাও দারুণ করেছিল। বাংলাদেশ সবসময় লড়াইয়ের সন্ধানে থাকে। তারা সবসময় বাঘের মতো লড়াই করে। এটা দারুণ।'
খেলোয়াড় হিসেবে বাংলাদেশ সফরের সুযোগ হয়নি নিক্সনের। তবে এমসিসির প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশে এসেছিলেন তিনি। সেটা বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার আগে। এবার বাংলাদেশের এসেছেন কোচ হিসেবে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর লক্ষ্য থাকবে এখানকার আবহাওয়া থেকে শিক্ষা নেয়া।
নিক্সনের ভাষ্যমতে, 'আমি অনেক বছর আগে এমসিসির সঙ্গে এখানে এসেছিলাম, বাংলাদেশ টেস্টের মর্যাদা পাওয়ার আগে। সেবার আমি এমসিসির হয়ে দেখতে এসেছিলাম যে বাংলাদেশ কি আসলেই ক্রিকেটের কোনো সাহায্য করবে কিনা এবং এখানে কোচদের জন্য সুযোগ সুবিধা আছে কিনা। তারা গর্বিত একটি জাতি। এটা আমাদের জন্যও সুযোগ এখানকার কন্ডিশন দেখা এবং এখান থেকে শিক্ষা নেয়া। ইংল্যান্ডের কন্ডিশন এতো পরিবর্তন হয় না। এখানকার আবহাওয়া স্থির না। সুতরাং আমাদের বোলিং ভ্যারিয়েশন খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।'