পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ শাহাদাত

ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচে সতীর্থ আরাফাত সানি জুনিয়রের গায়ে হাত তোলায় ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে শাহাদাত হোসেনকে। তিন বছর সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ থাকবেন এই ডানহাতি পেসার।
এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কোনো নিয়ম ভঙ্গ করলে বাকি দুই বছরও নিষিদ্ধ থাকতে হবে তাঁকে। তা না হলে তিন বছর পরই মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি। মঙ্গলবার শাহাদাতকে নিষিদ্ধ করার খবরটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ট্যাকনিকেল কমিটির প্রধান মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।

তিনি বলেছেন, 'শাহাদাতের কিন্ত আগেও শৃঙ্খলাভঙ্গের ইতিহাস ছিল, সেটাকে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। মাঠের মধ্যে সতীর্থের গায়ে হাত তোলা, এটা তো গুরুতর অপরাধ। টেকনিক্যাল কমিটির সবাই তার এই শাস্তির ব্যাপারে একমত হয়েছে। আমাদের আশা, অন্য ক্রিকেটারদের জন্যও এটা একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। যে কোন ক্রিকেটারের জন্যই এটা একটা খারাপ ব্যাপার যে,সে বারবার এরকম অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়াচ্ছে। শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না, এই বার্তাটা আমরা সবাইকে দিতে চাই।'
ঘটনার পর ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ একটি প্রতিবেদন জমা দেন বিসিবিতে। সেখানে তিনি বলেছেন, 'শাহাদাত যা করেছে এটা ৪ মাত্রার অপরাধ। বড় ধরনের অপরাধ।'
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের ম্যাচের দ্বিতীয় দিন এই কাণ্ড ঘটে। ম্যাচের মাঝে আরাফাত সানি জুনিয়রকে বলের শাইনিংয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন শাহাদাত। কিন্তু কাজটি সঠিকভাবে করতে না পারার কথা জানান সানি। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন ঢাকা বিভাগের এই ফাস্ট বোলার।
মাঠেই সানিকে চড়-থাপ্পর দেয়া শুরু করেন তিনি। ঘটনাটি সবার নজরে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে বিসিবির কাছে শাহাদাতের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করা হয়। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে শুরুতে জাতীয় লিগের চলমান ম্যাচ থেকে বাদ দেয়া হয় তাঁকে। এবার তাঁর বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থা নিয়েছে বিসিবি।
দোষ স্বীকার করে শাহাদাত বলেছেন, 'এনসিএলের চলমান ম্যাচটিতে আমি খেলছি না। আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমি জানি না সামনে কি হবে। এটা সত্যি যে আমি মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিলাম। আর সেও ভালো ব্যবহার করেনি। বল ঘষা নিয়ে সে খুব বাজেভাবে মন্তব্য করে।'