রুয়েলের আগুন ঝরানো বোলিংয়ে দুই দিনে জিতলো সিলেট

ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ষষ্ঠ রাউন্ডে ম্যাচে চট্টগ্রাম বিভাগকে ৯ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে সিলেট বিভাগ। এই জয়ের ফলে দ্বিতীয় স্তরের চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথম স্তরে জায়গা করে নিয়েছে সিলেট। চট্টগ্রামের বিপক্ষে সিলেটের পেসার রুয়েল মিয়া দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৩ উইকেট নিয়ে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন প্রতিপক্ষকে।
সিলেটের দেয়া ৪২ রানের লক্ষ্য ৫.৫ ওভারেই পেরিয়ে গেছে সিলেট। সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইমতিয়াজ হোসেন শুরুতে ১৪ রান করে ফিরলেও শাহনাজ আহমেদ এবং তৌফিক খান সিলেটের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন।
এই ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে রুয়েলের তাণ্ডবে মাত্র ১০৬ রানেই গুটিয়ে যায় চট্টগ্রামের প্রথম ইনিংস। রুয়েল মাত্র ২৬ রানে নেন ৮ উইকেট। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে সিলেট অল আউট হয় ২৩০ রানে।
১২৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে চট্টগ্রাম বিভাগ। দ্বিতীয় দিন তাঁরা শুরুতেই হারায় ওপেনার পিনাক ঘোষের উইকেট। তিনি রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরেছেন ইমরান আলীর বলে শাহনাজ আহমেদকে ক্যাচ দিয়ে।

এরপর আলভি আহমেদকে শূন্য রানে এলবিডব্লিউ করে ফিরিয়েছেন রুয়েল। টপ অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর ওপেনার সাদিকুর রহমান এবং মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান তাসামুল হকের ব্যাটে বিপর্যয় এড়ানোর চেষ্টা করে চট্টগ্রাম।
তাসামুল ৬ রান করে রুয়েলের দ্বিতীয় শিকার হলে এই জুটি ভাঙে। এরপর ওপেনার সাদিকুরকে সঙ্গ দিতে আসেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক ইরফান শুক্কুর। দারুণ খেলতে থাকা চট্টগ্রামের ওপেনার সাদিকুর রান আউটের শিকার হয়েছেন ব্যক্তিগত ৬২ রানে।
এই রান আউটেও অবদান আছে রুয়েলের। এরপর ১০ রান করা সাজেদুল হককে নিজের তৃতীয় শিকার বানিয়েছেন সিলেটের পেসার রুয়েল। ৪ রান করা মোনেম খানকেও সাজঘরে ফিরিয়েছেন তিনি। ২ রান করা শাখাওয়াত হোসেনকে ফিরিয়েছেন এনামুল হক জুনিয়র।
৬৬ রান করা চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুক্কুরকে আউট করেছেন রেজাউর রহমান। এরপর ইফরান হোসেনকেও বোল্ড করে আউট করেছেন তিনি। সিলেটের শেষ ব্যাটসম্যান নোমান চৌধুরীকে বোল্ড করে দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেটের সঙ্গে সিলেটের ইনিংসও গুটিয়ে দেন রুয়েল। সিলেটের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ১৬৫ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
চট্টগ্রাম বিভাগ প্রথম ইনিংসঃ ১০৬/১০ (৩৫.১ ওভার) (ইরফান ২১, তাসামুল ২১; রুয়েল ৮/২৬)
সিলেট বিভাগ প্রথম ইনিংসঃ ২৩০/১০ (৬৫ ওভার) (অমিত ৫৫, কাপালি ৪১, ফেরদৌস ৩৯*; ইরফান ৬/৯৫)
চট্টগ্রাম বিভাগ দ্বিতীয় ইনিংসঃ ১৬৫/১০ (৫১.১ ওভার) (সাদিকুর ৬২, শুক্কুর ৬৬; রুয়েল ৫/৩৯)
সিলেট বিভাগ দ্বিতীয় ইনিংসঃ ৪৫/১ (৫.৫ ওভার) (ইমতিয়াজ ১৪, শাহনাজ ১৮, তৌফিক ১১; ইফরান ১/১৯)