শ্রীলঙ্কার তাপমাত্রা সুযোগ করে দিয়েছে শফিউলকে

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
শ্রীলঙ্কার কন্ডিশন এবং গরমের কথা মাথায় রেখে মঙ্গলবার শফিউল ইসলামকে শ্রীলঙ্কা সিরিজের স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্বে থাকা সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন এমনটাই জানিয়েছেন।
ওয়ানডে সিরিজের জন্য প্রথমে ১৪জনের স্কোয়াড ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু মঙ্গলবার হুট করেই স্কোয়াডের ১৫তম সদস্য হিসেবে শফিউলকে লঙ্কাদ্বীপে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড।

ডানহাতি এই পেসারকে অন্তর্ভুক্ত করার আগে মোট ৪জন পেসার নিয়ে শ্রীলঙ্কা যায় বাংলাদেশ। প্রস্তুতি ম্যাচে পঞ্চম বোলার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সৌম্য সরকার। কিন্তু সেখানকার গরম, এবং ক্রিকেটারদের ফিটনেসের কথা ভেবে স্কোয়াডে একজন বাড়তি পেসার স্কোয়াডে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় টিম ম্যানেজম্যান্ট।
সুজন বলেন, 'দুশ্চিন্তা বলা ঠিক হবে না (বোলিং বিভাগ নিয়ে)। যেহেতু আমাদের ম্যাচগুলো খুব কাছাকাছি ২৬, ২৮। আমাদের একটি জায়গা খালি ছিল। আমরা প্রথমে ১৫জন নেইনি তখনই। মনে হল একটা ফাস্ট বোলার দলে দরকার সত্যি কথা বলতে গেলে। আমি যেটা অনুভব করি শফিউল অভিজ্ঞ বোলার। আমাদের ডেথ বোলিংয়ে দুশ্চিন্তা অনেক দিনের। বিপিএলে সে ডেথ ওভারে ভালো করেছে। সে ফিটও আছে। আমি মনে করি এটা তাঁর জন্যও একটি সুযোগ। সত্যি কথা বলতে ব্যাটিং নিয়ে আমরা চিন্তিত না। ছেলেরা বিশ্বকাপ থেকেই ভালো করছে। তারপরও বোলিংটা নিয়ে একটু চিন্তিত, কারণ অভিজ্ঞ মাশরাফি নাই, সাকিব নাই।
সত্যি কথা বলতে যারা আছে তারা সকলেই সামর্থ্যবান। তারপরও একটা এক্সট্রা বোলার নিয়ে রাখা দলের সঙ্গে। ফরহাদকে নিয়ে চারটা ফাস্ট বোলার। সৌম্য কালকে আমাদের জন্য ভালো বোলিং করেছে। ঐভাবে আমাদের একটা ফাস্ট বোলার নাই। যদিও কোনো ইনজুরি, গরমে কোনো ডিহাইড্রেশন বা কিছু হয়্য, তো সেসময় ঢাকা থেকে না এনে আগেই কন্ডিশনের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করে রাখা। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কন্ডিশনের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করা। এটাই চাওয়া এবং আমার মনে হয় ওর অভিজ্ঞতাটা আমাদের কাজে লাগবে।'
সর্বশেষ ২০১৬ সালে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন শফিউল। ম্যাচ না খেললেও বেশ কয়েকবার জাতীয় দলের স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন তিনি। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সফরেও স্কোয়াডে ছিলেন দেশের হয়ে ৫৬টি ওয়ানডে খেলা এই পেসার।