promotional_ad

বিশ্বমঞ্চে কে কেমন করলেন

ছবি- বিসিবি, রতন গোমেজ
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


ইংল্যান্ড বিশ্বকাপটা মনের মতো হয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। সবচেয়ে অভিজ্ঞ দল নিয়েও মাত্র তিনটি ম্যাচ জিতে দেশে ফিরতে হচ্ছে টাইগারদের। তবে দলের ব্যর্থতার মাঝেও ছিল বেশ কিছু প্রাপ্তি। সাকিব আল হাসানের রাজত্ব থেকে শুরু করে মুস্তাফিজ-সাইফউদ্দিনদের বোলিং ঝলক, প্রতিপক্ষকে বিপাকে ফেলেছে। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শেষ হওয়ায় ক্রিকেটারদের পারফর্মেন্স নিয়ে শুরু হয়েছে পোস্টমর্টেম। ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসরে ব্যাটে-বলে কে কেমন করলেন, একনজরে দেখে নেয়া যাক।


তামিম ইকবালঃ পঞ্চ পাণ্ডবের একজন তামিম ইকবাল। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর কাছ থেকে বেশি প্রত্যাশা থাকে সবার। এর আগে তিন বিশ্বকাপে খেলে দলকে নিজের সেরাটা দিতে পারেননি এই ওপেনার। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে তাঁর দিকে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু চলতি বিশ্বকাপেও ব্যর্থতার কাতারে থেকেই দেশে ফিরতে হচ্ছে তাঁকে। ২০১৫ সালের পর বাংলাদেশের হয়ে রান করেছেন আড়াই হাজারেরও বেশি। সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংলিশ কন্ডিশনে সেঞ্চুরি হাঁকানোর অভিজ্ঞতা ছিল তাঁর। সব মিলিয়ে টপ অর্ডারে তাঁর ব্যাটে সওয়ার হতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তামিম পারেননি। ৮ ম্যাচে দলের হয়ে ওপেন করেছেন, চার ম্যাচে ভালো শুরু পেয়েও সেটাকে বড় করতে পারেননি তামিম। প্রথম তিন ম্যাচে ৩০ এর ঘরেও যেতে পারেননি তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেছেন ৪৮। টুর্নামেন্টে মাত্র একটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন দেশসেরা এই ব্যাটসম্যান। অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ওই ম্যাচে ৬২ রান করেন তামিম। এবারের আসরে মোট ৩বার ইনসাইড এজে বোল্ড হয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে মাত্র ২৩৭ রান করা এই ওপেনার নিজের সামর্থ্যের সবটুকু দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। বাংলাদেশ দলের সেমিফাইনালে না ওঠার পেছনে তাঁর বাজে ফর্মকে দায়ী করলেও হয়তো ভুল হবে না।  


সৌম্য সরকারঃ তামিমের মতো একই হাল সৌম্য সরকারেরও। নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করা ৪২ রানই সৌম্যর সর্বোচ্চ ইনিংস। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। উল্টো তামিম ইকবালকে চাপে পড়তে হয়েছে তাঁর দ্রুত বিদায়ে। অথচ বিশ্বকাপ শুরুর ছয় মাস আগেই প্রিমিয়ার লিগে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন এই ওপেনার। তাঁর কাছ থেকেও প্রত্যাশাটা অনেক বেশি ছিল। তিনিও ব্যর্থতার বেড়াজালে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করেছেন। ৮ ম্যাচে মাত্র ১৬৬ রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে।


সাকিব আল হাসানঃ বাংলাদেশ দলকে এবারের আসরে একাই টেনেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের একাদশে সুযোগ না পেলেও সেখানে কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের অধীনে কাজ করেছেন সাকিব। ওজন কমিয়ে নিজেকে ফিট করে তোলার পাশাপাশি পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে বিশ্বকাপে মিশনে নেমেছিলেন এই অলরাউন্ডার। যার ফল তিনি পেয়েছেন। বিশ্বকাপের সব ম্যাচেই খেলেছেন চল্লিশোর্ধ ইনিংস। ৫টি হাফ সেঞ্চুরি এবং ২টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ৬০৬ রান নিয়ে আসর শেষ করেছেন সাকিব। যা এখন পর্যন্ত চলতি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। এ ছাড়া এক আসরে ৬০০ রান করা ক্রিকেটারদের মধ্যে তৃতীয় তিনি। নাম লিখিয়েছেন শচিন টেনডুলকার, ম্যাথু হেইডেনের পাশে। এ ছাড়া টানা পাঁচ হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নাম বসিয়েছেন শচিনের নামের পাশে। এবারের আসরেই  দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে ৬ হাজার রানের ক্লাবে প্রবেশ করেছেন সাকিব। দ্বিতীয় বাংলাদেশি হওয়ার পাশাপাশি বিশ্বের নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করার কীর্তি গড়েছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশ দল এবারের আসরে তিনটি ম্যাচে জিতেছেন, তিনটিতেই সাকিব ম্যাচ সেরা হয়েছেন। গড়েছেন বেশ কিছু রেকর্ড, যা বিশ্বকাপ আগে কখনও দেখেনি। বল হাতেও দারুণ ছিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে নেন ৫ উইকেট, আসরে মোট ১১ উইকেট। এই বিশ্বকাপেই ২৫০ উইকেট এবং ৬ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার। ১১ উইকেট এবং ৬০৬ রান করে টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন সাকিব।


মুশফিকুর রহিমঃ সাকিবের পর ব্যাট হাতে নিজেকে প্রমাণ করেছেন মুশফিকুর রহিম। অজি পেসার মিচেল স্টার্ক-প্যাট কামিন্সদের গতি, বাউন্সার আর সুইং সামলেও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮৩ করার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৮৩ রান করেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। ৮ ম্যাচে ৩৬৭ রান করা মুশফিক বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। নেটে অনুশীলনের সময় দুইবার চোট পেলেও নিজেকে ফিট করে মাঠে নেমেছেন তিনি। সব মিলিয়ে নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করে গেছেন তিনি। 



promotional_ad

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদঃ ২০১৫ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দুই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। চ্যাম্পিয়ন্ ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিলেন। তাই বিদেশের মাটিতে লোয়ার মিডল অর্ডারে তাঁর ব্যাটের দিকেই চেয়ে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে প্রত্যাশার সবটুকু পায়নি টাইগাররা। অবশ্য ইনজুরি বেশ ভুগিয়েছে তাঁকে। ইনজুরির কারণে বোলিং করতে পারেননি তিনি। পায়ের চোটে খেলতে পারেননি ভারতের বিপক্ষেও। একটি হাফ সেঞ্চুরি করা মাহমুদউল্লাহ ৭ ম্যাচে করেছেন ২১৯ রান।


লিটন দাসঃ বিশ্বকাপ শুরুর আগে ভালো ফর্মে ছিলেন লিটন দাস। ত্রিদেশীয় সিরিজে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৬ রানের ইনিংস খেলা লিটন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে করেন ৭৩ রান। কিন্তু টিম কম্বিনেশনের কারণে প্রথম তিন ম্যাচে একাদশে জায়গা হয়নি তাঁর। মোহাম্মদ মিঠুন অফ ফর্মে থাকায় টপ অর্ডার এই ব্যাটসম্যানের সুযোগ মেলে পাঁচ নম্বরে। সেটাকে দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেন অপরাজিত ৯৪ রানের ইনিংস। সাকিবের সঙ্গে ১৮৯ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। সেই ম্যাচের পর নিয়মিত সুযোগ পেয়েছেন একাদশে। কিন্তু ভালো শুরু পেয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি ৫ মাচে ১৮৪ রান করা লিটন। 


মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতঃ এবারের আসরে বাংলাদেশ দলের চমক ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তাঁর কাছ থেকে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পেয়েছে টাইগাররা। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন মোসাদ্দেক। আচমকা বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়া এই তরুণ দলের প্রয়োজনে যেমন ব্যাটিং করেছেন তেমন বল হাতেও পারফর্ম করেছেন। লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করা মোসাদ্দেক ৭ ম্যাচে ১১৭ রান করেছেন। বল হাতে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ইকোমিকাল বোলিং করে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। এই আসরে তাঁর ইকোনমি ছিল ৫.৯৭।


মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনঃ ভবিষ্যতের জন্য একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নিজেকে সেভাবেই প্রমাণ করেছেন চলতি বিশ্বকাপে। ভারতের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে একাই জয়ের খুব কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন তরুণ এই অলরাউন্ডার। বোলিংও করেছেন নজরকাড়া। শুরুর দিকে বোলিং করে অধিনায়ককে উইকেট এনে দেয়ার পাশাপাশি ডেথ ওভারেও তিনি ছিলেন অসাধারণ। ৭ ম্যাচে নিয়েছেন ১৩ উইকেট, ব্যাট হাতে করেছেন ৮৭ রান।


মেহেদী হাসান মিরাজঃ দলের প্রয়োজনে যেকোনো সময় নিজের সেরাটা দিতে প্রস্তুত মেহেদী হাসান মিরাজ বিশ্বকাপেও ছিলেন বেশ ভালো ছন্দে। ওপেনিং বোলিং করা থেকে শুরু করে, প্রতিপক্ষের উপর চাপ তৈরি করা এমনকি শেষের দিকেও বোলিং করেছেন তিনি। বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ফখর জামান এবং ইমাম-উল-হককে একাই চাপে ফেলে দিয়েছিলেন এই স্পিনার। ব্যাটিংয়ে তেমন সুযোগ পাননি, তাই বোলিং দিয়েই দলকে সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। ৭ ম্যাচ খেলে ৫.৩৯ ইকোনমিতে মিরাজ উইকেট নিয়েছেন ৬টি।


মাশরাফি বিন মুর্তজাঃ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি মাশরাফি বিন মুর্তজার কাছ থেকে দল যেমনটা চেয়েছিল, তার ১০ ভাগও দিতে পারেননি তিনি। পুরো আসরে নিষ্প্রভ থেকে গেছেন অভিজ্ঞ এই পেসার। ৮ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন মাত্র একটি। তাঁর বোলিং গড় ৩৬১.০০, যা কল্পনার বাইরে। বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডের মাটিতেও পারফর্ম করেছেন মাশরাফি। কিন্তু বিশ্বকাপে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। যা তাঁকে ঠেলে দিয়েছে চরম সমালোচনার মুখে।



মুস্তাফিজুর রহমানঃ নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেই আসর শেষ করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। পুরো আসরে নিয়েছেন ২০ উইকেট। যা এক বিশ্বকাপে কোনো বাংলাদেশি বোলারের জন্য সর্বোচ্চ। শেষ দুই ম্যাচে ভারত এবং পাকিস্তানকে একাই ভুগিয়েছেন ফিজ। টানা দুই ম্যাচে ৫ উইকেট করে নেয়ার পাশপাপাশি নাম লিখিয়েছেন লর্ডসের অনার্স বোর্ডে। ৮ ম্যাচে ৬.৭০ ইকোনমিতে ২০ উইকেট নেয়া এই পেসার প্রায় প্রতি ম্যাচেই দলের জন্য অবদান রেখেছেন।


রুবেল হোসেনঃ টিম কম্বিনেশনের কারণে এবারের বিশ্বকাপে সেভাবে জায়গাই পাননি রুবেল হোসেন। ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংলিশদের হারানোর ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের এ??? অন্যতম নায়ক এবারের আসরে খেলেছেন মাত্র দুটি ম্যাচে। আয়ারল্যান্ড সিরিজেও বেঞ্চে বসে কাটাতে হয়েছে তাঁকে। দুটি ম্যাচে সুযোগ পাওয়া রুবেল মাত্র একটি উইকেট নিয়েছেন। কিন্তু রান দেয়ার দিক নিয়ে নিজেকে আটকাতে পারেননি। ৭.৭০ ইকোনমিতে রান দিয়েছেন তিনি।


মোহাম্মদ মিঠুনঃ আসরের প্রথম তিন ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন মোহাম্ম মিঠুন। ভরসা করেই মিডল অর্ডারের দায়িত্বটা তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিল টিম ম্যানেজম্যান্ট। কিন্তু দলের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি এই ব্যাটসম্যান। আয়ারল্যান্ডের মাটিতে আশানুরূপ পারফর্ম করলেও বিশ্বকাপের ৩ ম্যাচে দলের বিপর্যয়ে উইকেট ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। তিন ম্যাচে রান করেছেন মাত্র ৪৭। যে কারণে পরবর্তীতে তাঁর জায়গায় লিটন দাসকে সুযোগ দেয়া হয়।


সাব্বির রহমানঃ নিয়ম ভঙ্গের দায়ে গেল বছর সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ হন সাব্বির। কিন্তু চলতি বছরের শুরুতে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার চাওয়ায় শাস্তি কমিয়ে দলে ফেরানো হয় সাব্বিরকে। মূলত একজন হার্ড হিটারের ভূমিকা পালন করতেই তাঁকে দলে ফিরিয়ে আনা হয়। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সুযোগ পেয়ে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলে জায়গাটা পাকাও করে ফেলেছিলেন সাব্বির। কিন্তু আয়ারল্যান্ড সিরিজে একাদশে জায়গা পেয়ে মোসাদ্দেক হোসেন সুযোগটা লুফে নেন। পরবর্তীতে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ পর্যন্ত বেঞ্চেই বসে থাকতে হয়েছে সাব্বিরকে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সুযোগ পেয়েও কিছু করতে পারেননি তিনি, সাজঘরে ফেরেন রানের খাতা খোলার আগেই। এরপর আবারও বাদ পড়তে হয় তাঁকে। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ চোট পাওয়ায় ভারতের বিপক্ষে সুযোগ পেয়ে দলের বিপর্যয়ে ৩৬ রান করলেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি তিনি। 


আবু জায়েদ রাহিঃ বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের ১৪জনই খেলার সুযোগ পেলেও আবু জায়েদ রাহি ছিলেন দর্শকের ভূমিকায়। একটি ম্যাচেও তাঁকে সুযোগ দেয়া হয়নি। অথচ ইংল্যান্ডের উইকেটে সুইং করাতে সক্ষম বলেই রাহিকে স্কোয়াডে নেয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন নির্বাচকরা। আয়ারল্যান্ডের মাটিতে খেলতে নেমে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ উইকেট তুলে নেন ডানহাতি এই পেসার। তবে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে আশানুরূপ পারফর্ম করতে পারেননি তিনি। পুরো বিশ্বকাপে বাংলাদেশের উত্থান-পতন ড্রেসিং রুমে বসেই দেখতে হয়েছে তাকে।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball