সাকিবের তিন উইকেট

ছবি:

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশঃ ২১১/৪ (২০ ওভার)
(লিটন দাস ৬০, সাকিব ৪২*, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৪৩*), শ্যাল্ডন কোট্রেল (২/৩৮)
উইন্ডিজঃ ১১২/৫ (১২ ওভার)
(ব্র্যাথওয়েট ৭* পাওয়েল ২১*), (সাকিব ৩/১৪)
সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা উইন্ডজদের রেকর্ড লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ দল। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২১১ রানের পুঁজি পায় সাকিব আল হাসানের দল। যা ঘরের মাঠে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ২১৫/৫ উইকেট হারিয়ে, শ্রীলংকার বিপক্ষে। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার লিটন কুমার দাস। সফরকারীদের পক্ষে শ্যাল্ডন কোট্রেল নেন সর্বোচ্চ ২টি উইকেট। ২১২ রানের লক্ষ্যে বর্তমানে ব্যাট করছে উইন্ডিজ দল।
সাকিবের জোড়াঃ

শেই হোপের বিদায়ের পর উইন্ডিজদের চেপে ধরে বাংলাদেশের বোলাররা। চাপে পরে বড় শট খেলতে গিয়ে সাকিব আল হাসানকে উইকেট দিয়ে বসেন শিমরন হেটমায়ার। দলীয় ৯৮ রানে মিড অন অঞ্চলেে সাইফুদ্দিনকে ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি। একই ওভারে ড্যারেন ব্রাভোকেও তুলে নেন সাকিব।
পুরান-হোপের বিদায়ঃ
মুস্তাফিজের ওভারে ২৪ রান নেয়ার পর হাত খুলে খেলতে গিয়ে সাকিব আল হাসানকে উইকেট ছুঁড়ে দেন পুরান। এরপরের ওভারে বলিংয়ে আসা মেহেদি হাসান মিরাজকে লেগ সাইডে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন হোপ।
বিধ্বংসী শেই হোপঃ
লুইস বিদায় নিলেও ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন শেই হোপ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানকে পাত্তাই দেন নি এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তাঁর এক ওভারে নিয়েছেন ২৪ রান। যদিও ৫ রান এসেছে ওয়াইডের মধ্য দিয়ে। প্রথম চার বলে চার বাউন্ডারি হাঁকানোর পর পরের বলে দুই রান নেন হোপ। শেষ বলে বাউন্সার দিতে গিয়ে লেগ সাইড দিয়ে পাঁচ রান ওয়াইড দেন মুস্তাফিজ। শেষ বলে এক রান নিয়ে ফিজের এক ওভারে ২৪ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করেন হোপ।
রনির প্রথমঃ
প্রথম দুই ওভারে উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের বিপদে ফেলতে পারে নি বাংলাদেশের বোলাররা। ইনিংসের প্রথম ওভারে পেসার আবু হায়দার উইন্ডিজ ওপেনার এভিন লুইসকে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেললেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি। তবে তৃতীয় ওভারে এসে রনিকে লেগ সাইডে কবজির জোরে মারতে গিয়ে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন এই ওপেনার। লুইস ফিরলেও শেই হোপকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে নেমেছেন নিকোলাস পুরান।
বাংলাদেশ একাদশঃ
তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, আবু হায়দার রনি, আরিফুল হক, মুস্তাফিজুর রহমান।
উইন্ডিজ একাদশঃ
এভিন লুইস, শাই হোপ (উইকেটরক্ষক), নিকোলাস পুরান, কিমো পল, শিমরন হেটমায়ার, ড্যারেন ব্রাভো, রোভম্যান পাওয়েল, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট (অধিনায়ক), ফাবিয়ান অ্যালেন, শেল্ডন কট্রেল, ওশানে থমাস।