টপ অর্ডারে সুযোগ পাচ্ছে বিশেষজ্ঞরাই

ছবি:

বাংলাদেশ নারী দলের অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার সালমা খাতুন। তিনি দলটির টি২০ অধিনায়কও। আগে বাংলাদেশের টপ অর্ডারে ব্যাট করতে দেখা যেতো তাকে। এখন ব্যাট করেন লোয়ার অর্ডারে।
তার এখন মূল পরিচয় বোলার। মূলত বাংলাদেশ দলের অন্য ক্রিকেটাররা নিজেদের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করায় ভূমিকা বদলে গেছে সালমার। টপ অর্ডারে ও মিডেল অর্ডারে নতুনরা ভালো করছেন তাই উপরে ব্যাট করার সুযোগ হচ্ছে না সালমার।
তবে অধিনায়ক হিসেবে দলকে দারুণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন সালমা সংবাদ মাধ্যমের সাথে আলাপকালে এমনটাই জানিয়েছেন নারী ক্রিকেট দলের সহকারী কোচ দেবিকা পালশিখর।

"দলে প্রত্যেকেরই একটা দায়িত্ব থাকে। আমাদের জন্য সে অধিনায়ক হিসেবে দলকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে, সে এখন ভালো বোলার। আপনি আমাকে জিজ্ঞেস করেননি সে কেন ওপেন করছে না, সে ওপেন করার ক্ষেত্রেও ভালো। তবে এই মুহূর্তে অন্যরাও দলের জন্য অবদান রাখছে, ভালো করছে। যদি তারা ভালো করে তাহলে সেটাই করতে দেয়া উচিত। সবারই কিছু না কিছু দায়িত্ব রয়েছে। যে এই দায়িত্বের জন্য যোগ্য আমরা তাকে সেখানেই সুযোগ দিচ্ছি।"
বাংলাদেশ নারী দলের ব্যাটিং অর্ডারের অবস্থা ছিল ছন্নছাড়া। কারোরই ব্যাটিংয়ের নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক ছিল না। কিন্তু নতুন কোচিং স্টাফরা যোগ দেয়ার পর বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার নতুন করে সাজিয়েছেন।
আর তাতে সাফল্যও পেয়েছে দলটি। এশিয়া কাপের শিরোপা জয়ের পর, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে সালমা-জাহানারার। এরপর নারী টি২০ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
"আমি অবাক হয়নি তেমন। আমাদের কিছু পরিকল্পনা ছিল। জানতাম এই দলের ভালো করার সামর্থ্য আছে। দলের আত্মবিশ্বাসের কিছুটা অভাব ছিল হয়তো। তাদের নিজ নিজ রোল ও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার ছিল। তাদের কোন আইডিয়া ছিল এইসব বিষয়ে। যে কেউই যে কোন পজিশনে ব্যাট করতে যাচ্ছিলো। আমরা ব্যাটিং অর্ডারটা ঠিক করেছি।
বাংলাদেশ নারী দল এখন তারই সুফল পাচ্ছে। এমনটাই বিশ্বাস নারী দলের এই কোচের, "আপনি যদি ব্যাটিং অর্ডারটা দেখেন, দেখবেন আমরা অনেক পরিবর্তন এনেছি। এখন সবাই জানে তাদের কোথায় খেলতে হবে, কি তাদের দায়িত্ব। এখন তারা মাঠে যাচ্ছে আর তাদের দায়িত্বটা পালন করছে।"