বাংলাদেশঃ ১০০/,১ সৌম্যঃ ৫১*, মুশফিকঃ ২৬*। 

ওভারঃ ১০

উড়ন্ত বাংলাদেশঃ 

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টুয়েন্টি ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ভয়ঙ্কর রূপ ধারন করে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও অভিষিক্ত জাকির হাসান প্রথম বল থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে লঙ্কানদের চাপে ফেলে।

ইনিংসের প্রথম ওভারেই মাধুসাংকার বলে দুইবার বাউন্ডারির দেখা পান সৌম্য। পিছিয়ে ছিলেন না জাকিরও। এক ওভারেই ১৭ রান তুলে বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেয় এই দুই বাঁহাতি। একই ধারা বজায় রেখে লঙ্কান বোলারদের চাপে ফেলে বাংলাদেশ।

বিশেষ করে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা সৌম্যর রুদ্রমূর্তি দেখে লঙ্কানরা। দুইশ ছাড়ানো স্ট্রাইক রেটে খেলে ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই দলের স্কোর  পঞ্চাশ ছাড়া করেন সৌম্য।

প্রথম ধাক্কাঃ

এক প্রান্ত থেকে সৌম্য আগ্রাসী ব্যাটিং করে গেলেও জাকির পার্টনারশিপে খেলে যান। রান থামাতে লঙ্কানদের উইকেটের দরকার ছিল। দুই বাঁহাতি ক্রিজে থাকায় উইকেটের আশায় অফ স্পিনার গুনাথিলাকাকে বল তুলে দেন চান্দিমাল। পরিকল্পনা সফলও হয়। 

চতুর্থ ওভারের শেষ বলে ক্রস ব্যাটে মিড উইকেটে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন জাকির। অভিষেক ম্যাচে ভয়ডরহীন ব্যাটিং করে ১০ রান যোগ করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।

ব্যাটিং পাওয়ারপ্লে শুধুই সৌম্যরঃ

উইকেট পতনে ছন্দ পতন হয়নি সৌম্যর। অফ স্পিন কিংবা পেস, লঙ্কানদের ছুঁড়ে দেয়া চ্যালেঞ্জ পার করেছেন চোখে চোখ রেখে। দুইশ ছাড়ানো স্ট্রাইক রেটে খেলে দলের স্কোর ৭১ রানে পৌঁছে দেন তিনি।

জুটিতে ভুগছে শ্রীলঙ্কাঃ

মুশফিক-সৌম্য জুটি গড়ে দলের স্কোর বাড়িয়ে একশর কাছাকাছি নিয়ে যায়। 

সৌম্যর প্রথমঃ

ইনিংসের দশম ওভারে এসে মাত্র ৩০ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন সৌম্য। এটি সৌম্যর টি-টুয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। একই ওভারে বাংলাদেশের স্কোর একশ ছাড়িয়ে যায়।

আম্পায়ারের ভুলঃ

ওভার প্রতি দশ রান করে তুলতে থাকা সৌম্যকে থামাতে লেগ স্পিনার জীবন মেন্ডিসকে বল তুলে দেয় চান্দিমাল। ১১তম ওভারে প্রথম বলেই সুইচ হিট করে খেলে মেন্ডিসকে চাপে ফেলতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাট বলে না হলে বিপদে পড়ে সৌম্য। স্ট্যাম্পের সামনে ধরা পড়া সৌম্য অবশ্য আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হন।

লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে বল পিচ করার পরও সৌম্যকে লেগ বিফর আউট দেন আম্পায়ার আনিসুল হক। ফলে ৩২ বলে ৫১ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় সৌম্যকে।

শ্রীলংকা একাদশঃ 

নিরোশান ডিকওয়েলা, উপুল থারাঙ্গা,  দিনেশ চান্দিমাল (অধিনায়ক), কুশাল মেন্ডিস, জীবন মেন্ডিস, দানুস্কা গুনাথিলাকা, থিসারা পেরেরা 8, দাসুন শানাকা,  আকিলা ধনঞ্জায়া, এস মাধুসাংকা, ঈশুর উদানা।

বাংলাদেশ একাদশঃ

জাকির হোসেন, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, আফিফ হোসেন, আরিফুল হক, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, নাজমুল ইসলাম অপু, মুস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন।