বাংলাদেশের জয়ের মন্ত্র ২০১৬ সালের শিক্ষা

ছবি: ছবি- বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে এক রানের হার ভোলেননি মুশফিকুর রহিম। এরপর আরও কতো ম্যাচ শেষ পর্যন্ত উইকেট থেকে জিতিয়েছেন, কিন্তু বেঙ্গালুরুর সেই ম্যাচের ক্ষত এখনও তাজাই রয়ে গেছে। শিক্ষাটা তখনই নিয়েছেন মুশফিক। জানালেন, দিল্লিতে পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছেন সেই ম্যাচের শিক্ষা।
বেঙ্গালুরুতে ২০১৬ সালে ৩ বলে ২ রানের হিসেব মেলাতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং মুশফিক। অভিজ্ঞ এই দুই ব্যাটসম্যান মাঠে থাকা সত্ত্বেও এক রানে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জিততে যেয়ে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুশফিক। পরের বলে একই পথের পথিক হন মাহমুদউল্লাহ। শেষ বলে মুস্তাফিজুর রহমান রান আউট হলে আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

যার পুনরাবৃত্তি করতে নারাজ ছিলেন মুশফিক। অপরাজিত ৬০ রানের ইনিংস খেলে দল জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তিনি। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে প্রথম জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বলেন, 'এভাবে জিতলে মনে রাখে না, কিন্তু হেরে গেলে সবাই মনে রাখে। এটা সবার ক্যারিয়ারেই ঘটে। যখন আপনি ১০-১৫ বছর খেলে ফেলবেন এমন পরিস্থিতিতে আপনাকে অনেকবারই পড়তে হতে পারে। এমন পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ জেতানোর নজিরও রয়েছে আমাদের এটা আমাকে অনেক আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। যে ভুল করেছি সেটা থেকে শিক্ষা নিয়েছি। তাই আমরা জিততে পেরেছি।'
২০১৬ সালের সেই জুটিই এবার ভারতকে হারিয়েছে। এবার নিজেদের পরিকল্পনা এবং কাজ সম্পর্কে পরিষ্কার ছিলেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ। যে কারণে ম্যাচ জেতাতে সক্ষম হয়েছেন তারা।
'মানুষ ভুল করতেই পারে। যেকোনো কেউই ভুল করতে পারে। ভুল থেকে শিক্ষা নেয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ওই ঘটনার পর আমি মনে হয় দুই থেকে তিনবার বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডেতে ম্যাচ শেষ করেছি। এটা আমাকে আত্মবিশ্বাসী করেছে। বিগত ভুলের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছি এ ম্যাচে। আমি রিয়াদ ভাইয়ের সঙ্গে ২০তম ওভার শুরু আগে কথা বলেছি, আমরা জানতাম কী করা লাগবে এবং কাজ সম্পর্কে আমরা পরিস্কার ছিলাম। এবার আমরা ম্যাচ শেষ করেছি। এটা ছিল দারুণ ব্যাপার।' যোগ করেছেন মুশফিক।
তিন ম্যাচর সিরিজের প্রথমটি জিতে ১-০তে এগিয়ে গেছে সফরকারী দল। আগামী ৭ এবং ১০ নভেম্বর সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।