ঢাকা-চট্টগ্রাম ঘুরে মুগ্ধর বিপিএল অভিষেক রংপুরে!

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিবিপিএল) মাঝপথে দল পেয়েছেন তরুণ পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) তাঁকে দলে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন রংপুর রেঞ্জার্সের ম্যানেজার খন্দকার সাইদুল ইসলাম।
পরদিন কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ম্যাচেই বিকেএসপির এই পেসারকে একাদশে জায়গা দেয় রংপুর। এই ম্যাচ দিচ্ছে বিপিএল অভিষেক হয়েছে ১৯ বছর বয়সী এই তরুণের।
১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বিপিএল প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে মুগ্ধকে নেয়নি কোনো দল।
বিপিএল খেলা তাঁর জন্য ছিল অনিশ্চিত। কিন্তু হঠাৎ দুয়ার খুলে যায় ডানহাতি এই পেসারের। নেটে মুগ্ধর বোলিং দেখে তাঁকে মনে ধরে রংপুরের কোচ মার্ক ও'ডনেলের। মুগ্ধকে দলে নিতে রংপুরকে একপ্রকার জোর করেন তিনি।
রংপুর দলে জায়গা পাওয়ার আগে মুগ্ধ ঘুরেছিলেন বঙ্গবন্ধু বিপিএলের বেশ কয়েকটি দলের নেটে-নেটে। প্রথমে ঢাকার প্লাটুনের নেটে বোলিং করেন তিনি। কিন্তু ঢাকার কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের নজর কাড়তে পারেননি মুগ্ধ।

এরপর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের নেটেও দেখা যায় তাঁকে। সেখানে পল নিক্সনকেও মুগ্ধ করেন ডানহাতি এই পেসার। কিন্তু তাঁকে আর দলে নেয়নি চট্টগ্রাম। শেষ পর্যন্ত রংপুরের কোচের নজরে এসে সরাসরি বিপিএল অভিষেক হলো তাঁর।
বলের গতি মুগ্ধর সবচেয়ে বড় শক্তি। আর এটি গতিতেই মুগ্ধ হয়েছেন রংপুরের কোচ ও'ডনেল। বিকেএসপির এই ক্রিকেটার বল করতে পারেন ১৪০ কিমিঃ গতিতে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটের জন্য দারুণ ব্যাপার।
অভিষেক ম্যাচে বোলিং দিয়ে সামর্থ্যর পরিচয় দিয়েছেন মুগ্ধ। পাওয়ার প্লেতে বোলিংয়ে এসে নিজের প্রথম ওভারে মাত্র ৩ রান দেন তিনি। নিজের ওভারে বিপিএলের তাঁর অভিষেক উইকেট তুলে নেন মুগ্ধ। দুর্দান্ত খেলতে থাকা কুমিল্লার ওপেনার সৌম্য সরকারকে সাজঘরে ফেরান তিনি।
প্রথম দুই ওভারে ১০ রান দেয়া মুগ্ধ পরের দুই ওভারে দেন ১৬ রান। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৬ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। ২০১৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে এশিয়া কাপ খেলে সবার নজরে আসেন মুগ্ধ। এরপর বেশ কিছুদিন ইনজুরির ছিলেন তিনি। যে কারণে আড়ালে পড়ে যান এই তরুণ।
গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) দিয়ে আবারো নিজেকে মেলে ধরে মুগ্ধ। প্রিমিয়ার লিগের অভিষেক টুর্নামেন্টে ৬টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। বিকেএসপির হয়ে খেলা ডানহাতি এই পেসার ৬ ম্যাচে ৫১.২ ওভার বল করে ৩৩.৬২ গড় এবং ৫.২৪ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৮ উইকেট।
এরপর জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) অভিষেক হয় এই পেসারের। রংপুর বিভাগের হয়ে ৩ ম্যাচ খেলে ২৬.৩৩ গড় এবং ৩.০০ ইকোনমিতে ৯ উইকেট নেন তিনি। এর আগে প্রিমিয়ার লিগের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টেও খেলেছেন মুগ্ধ। সেখানে ২টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। যদিও সেই টুর্নামেন্টে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। দুই উইকেট নিলেও রান দিয়েছেন ১০.৩৩ ইকোনমিতে।