দিনের সেরাঃ মুশফিকুর রহিম
ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| ক্রিকফেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে খুলনা টাইগার্সের জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার ছিল ৪ রান। খুলনার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরির জন্য দরকার ছিল ৫ রান। এমন সমীকরণ সামনে রেখে যেকোনো ব্যাটসম্যানই ছয় মেরে সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার সঙ্গে দলকে জেতাতে চাইবেন।
মুশফিক অবশ্য ঠান্ডা মাথার প্রমাণ দিয়েছেন। শেষ ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে বদল করলেন প্রান্ত। পরের বলে রবি ফ্রাইলিঙ্ক সিঙ্গেল নিলে তৃতীয় বলে আবারও স্ট্রাইকে যান মুশফিক। বোপারার করা ফুলটস বল সীমানা ছাড়া করতে গিয়ে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মিড উইকেটে ধরা পড়েন শোয়েব মালিকের হাতে।

এরফলে ৯৬ রানে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯টি চার এবং ৬টি চারে। মুশফিকের শেষ শটটি ছাড়া পুরো ইনিংসই ছিল দেখার মতো। অধিনায়ক ফিরে যাওয়ার পর ফ্রাইলিঙ্ক পরের বলেই চার মেরে খুলনাকে কাঙ্ক্ষিত জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের এটাই প্রথম ম্যাচ ছিল। মুশফিকের এই ইনিংসে বিনোদনের খোরাক পেয়েছেন স্থানীয় দর্শকরাও। ৫১ বলে ঝড়ো ৯৬ রানের ইনিংস খেলার পথে মুশফিক সব প্রথাগত শটই খেলেছেন। খেলেছেন অপ্রথাগত শটও।
ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিনি লেগ স্পিনারকে স্কুপ করেছেন, খেলেছেন রিভার্স সুইপও। আর মুশফিকের সিগনেচার শট মিড উইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কাও ছিল বেশ কয়েকটি। দিন শেষে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাতছাড়া হওয়ায় কিছুটা হতাশ হতেই পারেন মুশফিক।