সাজঘরে আফিফ

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
রাজশাহী রয়্যালসঃ ৭২/৩ (৯ ওভার) (মালিক ২৬*, বোপারা ১*; আমির ১/১৭, ফ্রাইলিঙ্ক ১/৫)
ব্যর্থ আফিফঃ ইনিংসের নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে আফিফ হোসেন ধ্রুবকে শফিউল ইসলামের হাতে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘর ফেরান ডানহাতি পেসার শহিদুল ইসলাম। ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৭ বলে ১৯ রান করেন আফিফ। ৬৬ রানের মাথায় তিন নম্বর উইকেট হারিয়েছে রাজশাহী।
লিটনের বিদায়ঃ এক ছক্কা এবং এক চারের সাহায্যে ১৬ বলে ১৯ রান করে বিদায় নিয়েছেন রাজশাহীর উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস। রবি ফ্রাইলিঙ্কের করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারের প্রথম বল তুলতে মারতে গিয়ে মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ফলে ২৬ রানের মাথায় ২ উইকেট হারায় রাজশাহী।

রাজশাহী শিবিরে আমিরের আঘাতঃ টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে রাজশাহী রয়্যালস। দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাইকে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ বানিয়ে আউট করেন খুলনার পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির। ফলে দলীয় ৮ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় আন্দ্রে রাসেলদের দল।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচে দুই জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে রয়েছে আন্দ্রে রাসেলদের রাজশাহী। আসরে ইতোমধ্যেই হট ফেভারিটের তকমা পেয়ে গেছে দলটি। লিটন দাস, আফিফ হোসেন ধ্রুব, ফরহাদ রেজা, তাইজুল ইসলাম, অলক কাপালি, রবি বোপারা, হজরতউল্লাহ জাজাই ও শোয়েব মালিকদের দলটি যথেষ্ট শক্তিশালী।
অপরদিকে খুলনা চলমান আসরে একটি ম্যাচ খেলে একটিতেই জিতেছে। দলীয় শক্তিতে সমৃদ্ধশালী এই দলটিও। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের পাশাপাশি রাইলি রুশো, রবি ফ্রাইলিঙ্ক, মোহাম্মাদ আমির, শফিউল ইসলাম, রহমতউল্লাহ গুরবাজরা আছেন এই দলে।
এখন পর্যন্ত সিলেট থান্ডার এবং ঢাকা প্লাটুনকে হারিয়েছে রাজশাহী রয়্যালস। খুলনা জয় পেয়েছে আসরের আরেক শক্তিশালী দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে।
রাজশাহী রয়্যালস একাদশঃ
লিটন দাস (উইকেট রক্ষক), হজরতউল্লাহ জাজাই, আফিফ হোসেন ধ্রুব, শোয়েব মালিক, অলক কাপালি, রবি বোপারা, আন্দ্রে রাসেল (অধিনায়ক), ফরহাদ রেজা, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহি, কামরুল ইসলাম রাব্বি।
খুলনা টাইগার্স একাদশঃ
নাজমুল হোসেন শান্ত, রহমানউল্লাহ গুরবাজ, রাইলি রুশো, মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক এবং উইকেট রক্ষক), শামসুর রহমান, আমিনুল ইসলাম, রবি ফ্রাইলিঙ্ক, মেহেদি হাসান, শফিউল ইসলাম, মোহাম্মদ আমির, শহিদুল ইসলাম।