|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

ঢাকা প্লাটুনঃ ১৮০/৭ (২০ ওভার) (তামিম ৭৪, পেরেরা ৪২*, ইভান্স ২৩; শানাকা ২/৪৮, সৌম্য ২/৩৯)

কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সঃ ১১১/৫ (১৪ ওভার) (মালান ২৯*, অঙ্কন ৭*; পেরেরা ২/৭, মাশরাফি ১/২৭)  

অধিনায়ক শানাকার বিদায়ঃ আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝড় তুললেও এই ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন কুমিল্লার লঙ্কান রিক্রুট দাশুন শানাকা। রানের খাতা খোলার আগেই স্বদেশী থিসারার বলে আউট হন তিনি। সৌম্যকে ফেরানোর ঠিক পরের বলেই শানাকাকে আউট করে হ্যাট্রিকের আশা জাগিয়ে তোলেন থিসারা। উইকেট রক্ষক বিজয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন কুমিল্লা দলপতি। 

ব্যর্থ সাব্বিরঃ সৌম্যর বিদায়ের পর দ্রুত ফিরতে হয়েছে সাব্বির রহমানকে। মাত্র ৪ রান করে থিসারা পেরেরার বলে বিজয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। ৯৮ রানের মাথায় ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে কুমিল্লা। 

সৌম্যর বিদায়ঃ দলীয় ৮৬ রানের মাথায় ওয়াহাব রিয়াজের বলে উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন সৌম্য সরকার। ফলে ৩৫ রান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাঁকে। একটি ছক্কা এবং ৫টি চার মারেন সৌম্য। 

মেহেদির প্রথমঃ মাশরাফির পর কুমিল্লা শিবিরে আঘাত হানেন ডানহাতি স্পিনার মেহেদি হাসান। দলীয় ৩৬ রানের মাথায় ইয়াসির আলীকে জাকের আলীর হাতে ক্যাচ বানিয়ে আউট করেন তিনি। ফলে দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে দাশুন শানাকার কুমিল্লা 

কুমিল্লা শিবিরে মাশরাফির আঘাতঃ ঢাকা প্লাটুনের দেয়া ১৮১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেন শ্রীলঙ্কার বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ভানুকা রাজাপাকসে। ২টি ছক্কা এবং ৩টি চারে  ১২ বলে ২৯ রান করেন তিনি। কিন্তু এরপর তৃতীয় ওভারের পাঁচ নম্বর বলে তাঁকে সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান ঢাকার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। 

এর আগে তামিম ইকবাল এবং থিসারা পেরেরার ব্যাটে ভর করে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান সংগ্রহ করে ঢাকা প্লাটুন। তামিমের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৭৪ রান।

ঢাকা প্লাটুনঃ মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, হাসান মাহমুদ, মেহেদি হাসান, শুভাগত হোম, জাকির আলী, থিসারা পেরেরা , লরি ইভান্স, ওয়াহাব রিয়াজ ও শহীদ আফ্রিদি।

কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সঃ দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, আল আমিন হোসেন., ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি, সাব্বির রহমান, সানজামুল ইসলাম, আবু হায়দার রনি, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন,  ভানুকা রাজাপাকশে, মুজিব উর রহমান ও ডেভিড মালান।