গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বিবর্ণ সাকিব

ছবি:

৩৬ রানে যখন হায়দ্রাবাদের তিনটি উইকেট নেই, তখন উইকেটে আসেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। দল তখন তার থেকে ধৈর্যশীল একটি ইনিংস দাবী করছিলো।
কিন্তু এদিনে নিদারুণ ব্যর্থ সাকিব। চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ব্যাট হাতে রাঙাতে পারলেন না আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে। ১০ বলে দুটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে করেছেন ১২ রান।
ব্রাভোর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বিলিয়ে বিদায় নিয়েছেন দলীয় ৫০ রানেই। এদিনে অবশ্য কার্লোস ব্রাথওয়েটের ২৯ বলে অপরাজিত ৪৩ রানের সুবাদে ১৩৯ রানের পুঁজি পায় সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।

তবে দল ভালো কিছু আশা করলেও আশা জাগানিয়া পারফর্মেন্স দেখাতে পারেননি সাকিব। একইসাথে বল হাতেও নিদারুণ ব্যর্থ তিনি। চেন্নাই রানের খাতা খোলার আগেই ওপেনার শেন ওয়াটসনের উইকেট নিয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার।
তারপর নিজের প্রথম ওভারেই হায়দ্রাবাদের পেসার কউল পরপর দুই বলে বোল্ড করে ফিরিয়েছেন রায়না (২২) ও রাইডুকে (০)। মহেন্দ্র সিং ধোনি ও ডোয়াইন ব্রাভোকে যথাক্রমে ৯ ও ৭ রানে ফিরিয়েছেন স্পিনার রশিদ খান।
পেসার সন্দীপ শর্মা ৩ রানে ফেরান চেন্নাই অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজাকে। অথচ দলের হয়ে দশম ওভারে বল ধরলেও উইকেটে অবদান নেই সাকিবের। সেই ওভারে অবশ্য মাত্র ছয়রান দেন তিনি।
পরবর্তীতে ১৪ ওভার করার সময় প্রথম চার বলে চারটি সিঙ্গেলস দিলেও শেষ দুই বলে ডু প্লেসির কাছে চার ও ছয়ের মার খেতে হয় সাকিবকে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে দুই ওভারে ২০ রান দিয়ে উইকেট শুন্য সাকিব।
অথচ কার্লোস ব্র্যাথওয়েট ছাড়া এদিনে উইকেট পেয়েছেন দলের বাকী সব বোলারই। ফাইনালে যেতে দল আজ সাকিবের প্রতি কিছুটা হলেও নির্ভরশীল ছিল। আইপিএলের এই ম্যাচটি খুব দ্রুতই ভুলে যেতে চাইবেন তিনি।