১৮৩ রান করেও ৯৪ রানে জিতলেন বিজয়রা

ছবি: দাপুটে বোলিংয়ে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ৪ নম্বর মাঠে জয়ের জন্য ১৮৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় প্রাইম ব্যাংক। শামসুর রহমান শুভর প্রথম বলেই ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে মিড অফে আবু হাশিমের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন সাব্বির হোসেন। তিনে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জাকির হাসান। শেখ পারভেজ জীবনের বলে লেগ সাইডে ঠেলে দিয়ে এক রান নিতে চেয়েছিলেন নাইম শেখ।
এরকম নিউজের পর আমার ক্যারিয়ারে কী হবে জানি না: বিজয়
২ ফেব্রুয়ারি ২৫বাঁহাতি ওপেনারের ডাকে সাড়া দিলেও স্ট্রাইক প্রান্ত পৌঁছাতে দেরি করে ফেলেছিলেন জাকির। রান আউট হয়ে ফিরতে হয়েছে ১১ রান করা ব্যাটারকে। ওপেনার নাইমও সুবিধা করতে পারেননি। পারভেজ জীবনের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে খানিকটা জায়গা বানিয়ে এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন নাইম। তবে টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় মিড অফে থাকা তোফায়েল আহমেদকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। ছন্দে থাকা বাঁহাতি ওপেনার আউট হয়েছেন ১৫ রানে।
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর শাহাদাত হোসেন দিপুকেও ফিরিয়েছেন পারভেজ জীবন। ডানহাতি স্পিনারের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে ১২ রানে আউট হয়েছেন তিনি। অধিনায়ক ইরফান শুক্কুর ফিরেছেন দ্রুতই। শামীম হোসেন পাটোয়ারিকে নিজের শিকার বানিয়েছেন লিওন ইসলাম। ৫৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে প্রাইম ব্যাংক।
সেখান থেকে অবশ্য আর বের হতে পারেনি তারা। একটু পর আউট হয়েছেন নাহিদুল ইসলামও। শেষ দিকে রিশাদ হোসেনের ২১ রান ছাড়া বাকিদের কেউই কিছু করতে পারেননি। মাত্র ৮৯ রানে অল আউট হয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। গাজী ক্রিকেটার্সের হয়ে হাশিম তিনটি, লিওন ও পারভেজ জীবন দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। ইনিংসের অষ্টম ওভারে সাদিকুর রহমানের উইকেট হারায় তারা। নাহিদুল ইসলামের লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে ফাইন লেগ দিয়ে খেলার চেষ্টায় আরাফাত সানির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। বাঁহাতি ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ৮ রান।
তানজিদ-সাইফ-সৌম্যদের নৈপুণ্যে রূপগঞ্জের তৃতীয় জয়
১২ মার্চ ২৫
দ্বিতীয় উইকেটে অবশ্য জুড়ে গড়ে তোলেন এনামুল হক বিজয় এবং ওয়াসি সিদ্দিকী। তাদের দুজনের জুটি ভেঙেছেন সানি। বাঁহাতি স্পিনারের বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ৩৮ বলে ১৬ রান করা ওয়াসি। ইনিংসের ১৮তম ওভারে শামসুর রহমান শুভ ও সালমান হোসেন ইমনকে বিদায় করেছেন নাহিদুল। একটু পর ফিরেছেন বিজয়ও। গাজী ক্রিকেটার্সের অধিনায়ককে হাফ সেঞ্চুরি করতে দেননি সানি।
বাঁহাতি স্পিনারের অফ স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন তিনি। ৫ চার ও এক ছক্কায় ৪৪ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলে ফিরতে হয় বিজয়কে। দলের রান একশ পেরিয়ে যাওয়ার একটু পর ফিরেছেন তোফায়েলও। রিশাদের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে লং অনের উপর দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে নাহিদুলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তোফায়েলকে ফিরতে হয়েছে ২০ রানে।
শেষের দিকে গাজী ক্রিকেটার্সের রান বাড়িয়ে নিয়েছেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও আব্দুল গাফফার সাকলাইন। তবে নাহিদুল, সানি, রিশাদের ঘূর্ণিতে ১৮৩ রানের বেশি করতে পারেনি গাজী ক্রিকেটার্স। ৭১ বল খেলা আমিনুল ৩৫ ও সাকলাইন ২৪ রান করেছেন। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন নাহিদুল ও সানি। দুটি উইকেট পেয়েছেন লেগ স্পিনার রিশাদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স- ১৮৩/১০ (৪৩.৪ ওভার) (বিজয় ৪৮, আমিনুল ৩৫, সাকলাইন ২৪; সানি ৩/৩৩, নাহিদুল ৩/৪৬, রিশাদ ২/২৩
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব- ৮৯/১০ (২৩.২ ওভার) (নাইম ১৫, জাকির ১১. দিপু ১২, শামীম ৪, রিশাদ ২১; পারভেজ জীবন ২/১৭, হাশিম ৩/১২)