‘ভালো শট’ বিপিএলের বাংলাময় দিনে আমির সোহেল

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে নাও থাকতে পারে আইপিএল-পিএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি
৬ জুলাই ২৫
আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের অফ স্টাম্পের খানিকটা বাইরের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে উড়িয়ে মেরে সীমানা পার করলেন লিটন দাস। আম্পায়ার দুহাত উঁচিয়ে জানিয়ে দিলেন এটি ছক্কা। লিটনের ওমন শট দেখে ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে আথার আলী খান বলে উঠলেন, ‘ওহ! শট, চমৎকার একটা শট।’ বাংলায় এমন ধারাভাষ্য দিয়ে আমির সোহেল আর কার্টলি অ্যামব্রোসকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের সাবেক এই ক্রিকেটার।
এরপর অ্যামব্রোস ও আমিরকে উদ্দেশ্য করে আথার জানতে চাইলেন, ‘কেমন আছো?’ প্রতি উত্তরে অ্যামব্রোস বলে উঠলেন, ‘আমি ভালো আচি (আছি)।’ তাদের কুশল বিনিময় শেষে টিভিতে যখন লিটনের ছক্কার রিপ্লে দেখাচ্ছিলো তখন সেই শটের প্রশংসা করে আথার বললেন, ‘দারুণ একটা শট।’ ততক্ষণাৎ পাশ থেকে আমির বলে উঠেন, ‘ভালো শট।’ বিপিএলের বাংলাময় দিনে ধারাভাষ্যকক্ষে শোনা গেল পাকিস্তানিদের কণ্ঠে বাংলাদেশের ভাষা, বাঙালির ভাষা।
১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যে ভাষার জন্য পাকিস্তানের পুলিশের গুলিতে জীবন দিয়েছিলেন আবুল বরকত, রফিক উদ্দীন এবং আব্দুল জব্বাররা। ২১ ফেব্রুয়ারির আগে বিপিএল শেষ হয়ে যাবে, যে কারণে ভাষা শহীদদের স্মরণে ১০ ফেব্রুয়ারিকে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিপিএলের শুক্রবারের দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে বেশ কিছু কার্যক্রম হাতে নেয় দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।

দিনের প্রথম ম্যাচের শুরুর আগে বাংলা বর্ণমালা সম্বলিত পাঞ্জাবি পড়ে ছবি তুলতে মাঠে নেমে পড়েন ধারাভাষ্যকাররা। সেখানে ছিলেন বাংলাদেশের আথার আলী, শামীম আশরাফ চৌধুরি এবং সমন্বয় ঘোষ, পাকিস্তানের আমির সোহেল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কার্টলি অ্যামব্রোস, সাউথ আফ্রিকার হিলটন ডিওন অ্যাকেরমান, শ্রীলঙ্কার রোশান আবেসিংহে এবং বিপিএলের সঞ্চালক পামেলা সিং।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে নেই হাসারাঙ্গা
১ ঘন্টা আগে
আথার-অ্যামব্রোসরা পড়েছিলেন পাঞ্জাবি আর পামেলা পড়েছিলেন কালো পাড়ের সাদা শাড়ী। ম্যাচ চলাকালীন বাংলায় ধারাভাষ্যও দিয়েছেন শামীম-আথাররা। এদিকে ম্যাচের সময় মুকিদুল ইসলাম, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ও হাবিবুল বাশারদের বাংলায় সাক্ষাৎকার নিয়েছেন পামেলা।
ভারতীয় এই সঞ্চালক ও অভিনেত্রী পুরো সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলায়। এ ছাড়া ওভার শেষ হওয়ার পর প্রায়শই স্টেডিয়ামের এলইডি স্ক্রিনে দেখা গেছে অতুল প্রসাদ সেনের ‘মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা!’ এবং আল মাহমুদের একুশের কবিতার বেশ কয়েকটি লাইন।
‘প্রভাতফেরী, প্রভাতফেরী
আমায় নেবে সঙ্গে,
বাংলা আমার বচন, আমি
জন্মেছি এই বঙ্গে।’
শুধু তাই নয় এদিন লিটন দাস, মুস্তাফিজুর রহমান থেকে শুরু করে খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ রিজওয়ানরা পড়েছিলেন কালো বাহুবন্ধনী। যেখানে লেখা ছিল অ, আ, ক, খ সহ বেশ কয়েকটি বাংলা বর্ণ। যে ভাষার জন্য পাকিস্তানের গুলিতে জীবন দিতে হয়েছিল সেই পাকিস্তানের কণ্ঠে, বাহুতে বাংলা ভাষা। বিসিবির এমন আয়োজনের প্রাপ্তির অনেকটাই বোধহয় এখানটা জুড়ে আছে।