মিরপুরের বাইরে টি-টোয়েন্টি চান মিরাজ

ছবি: মেহেদী হাসান মিরাজ

বিশ্ব ক্রিকেটে যতটা এগিয়েছে মিরপুরের উইকেট দিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট ঠিক ততোটাই পিছিয়ে গেছে। প্রায়শই এমন দাবি করেন ক্রিকেট বিশ্লেষক থেকে সমর্থকরা। সবশেষ কয়েক বছরে আধুনিক ক্রিকেটের ধরন বদলে গেলেও মিরপুরের উইকেটের চিত্র বদলানো যায়নি। বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টের সঙ্গে উইকেটের বিস্তর ফারাক থাকায় বৈশ্বিক আসরে ভালো করতে পারে না বাংলাদেশও। মিরপুরের উইকেট নিয়ে সমালোচনাটা বেশ পুরনো।
অধিনায়ক হতে রাজী থাকলেও আপাতত শান্তকে সাপোর্ট করতে চান মিরাজ
১১ এপ্রিল ২৫
২০১৭ সালের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ৯৭ রানে অল আউট হয়েছিল রংপুর রাইডার্স। সেদিন ম্যাচ শেষে উইকেটের সমালোচনা করেছিলেন রংপুরের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। একই ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীতে তামিম ইকবাল উইকেট নিয়ে বলেছিলেন, ‘হরিবল, হরিবল, হরিবল’ উইকেট!’ তাদের দুজনের মতো সমালোচনা করেছিলেন সাকিব আল হাসানও।
২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। সেই সিরিজে ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিবরা। বিশ্বকাপের যাওয়ার আগে উইকেটের সমালোচনা করে সাকিব বলেছিলেন, ‘এ রকম উইকেটে কোনো ব্যাটসম্যান ১০-১৫টা ম্যাচ খেললে তার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে।’

ভারত সিরিজের সূচি প্রকাশ করল বাংলাদেশ
১৫ মিনিট আগে
মিরপুরের সমালোচনায় তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন লিটনও। প্রথম আলোকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মিরপুরের উইকেট নিয়ে বিস্তর সমালোচনা করেছেন তিনি। যেখানে ডানহাতি উইকেটকিপার বলেন, ‘মিরপুরে এক মাস প্র্যাকটিস করলে ভালোর চেয়ে খারাপ হওয়ার চান্স বেশি।’ মিরাজও মনে করেন, বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলো মিরপুরে না দিয়ে সিলেট কিংবা চট্টগ্রামে দেয়া উচিত।
বিএসপিএ অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠান শেষে মিরাজ বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে মিরপুরের চেয়ে আমাদের অন্য যে গ্রাউন্ডসগুলো আছে সেগুলোয় আমরা খেলতে পারি। এটা আসলে অধিনায়ক-কোচ-টিম ম্যানেজমেন্ট কিভাবে চায়, সেটা তাদের ব্যাপার যে আমরা কী উইকেটে খেলতে চাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। আমার কাছে মনে হয় ট্রু উইকেটে খেলাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিশ্বকাপে যেহেতু ভালো উইকেট থাকে, এখানে রান হয় অনেক বেশি। ট্রু উইকেটে খেলতে আমাদের বোলাররাও শিখতে পারবে এবং একই সঙ্গে ব্যাটাররাও অনেক শটস খেলতে পারবে।’
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২০ ওভারের টুর্নামেন্টের আগে পাকিস্তানের সঙ্গে দুই সিরিজ মিলিয়ে ৮ টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। পরবর্তীতে শ্রীলঙ্কা, ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে তিনটি করে টি-টোয়েন্টি খেলবেন মিরাজরা। এ ছাড়া টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এশিয়া কাপও খেলার সুযোগ থাকছে তারা। ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য অন্তত ২২ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। মিরাজ মনে করেন, সিরিজগুলোতে ভালো করতে পারলে বিশ্বকাপের জন্য ভালো প্রস্তুতি হবে।
তিনি বলেন, ‘দেখুন যেহেতু সামনে বিশ্বকাপ খেলা আছে তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তানে যেহেতু আমরা পাঁচটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলব। তারপর আমাদের আরও কিছু টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আছে বিশ্বকাপের আগে। আমার কাছে মনে হয় এই প্রস্তুতিটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর আমরা টুর্নামেন্টে গেলে হয়ত অনেক ভালো করতে পারি না। এই সিরিজগুলো খেলে যদি পারফর্ম করতে পারে, ভালো একটা শেইপ তৈরি করতে পারে। তাহলে আমার কাছে মনে হয় বিশ্বকাপের আগে ভালো একটা প্রস্তুতি হবে।’