সাইফের হাফ সেঞ্চুরিতে শুরু, তাইজুলের হ্যাটট্রিক মিসে শেষ

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি, তানভিন তামিম

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
ঠিক ২০০ দিন পর কোন ম্যাচ খেলার স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তবে এটা আন্তর্জাতিক বা ঘরোয়া লিগের কোন ম্যাচ নয়। নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে মিরপুরে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে লড়ছেন মুশফিক-মুমিনুলরা।
প্রথম দিন রায়ান কুক একাদশের বিপক্ষে অল আউট হওয়ার আগে ওটিস গিবসন একাদশের সংগ্রহ ২৩০ রান। তাসকিন আহমেদের আগুন ঝরানো বোলিংয়ের সাথে তাইজুল ইসলামের স্পিন ঘূর্নিতে কুপোকাত গিবসন একাদশ। শেষ বিকেলে দুই ওভার হাত ঘুরিয়েই দুই উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ মিঠুনও।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় প্রথমে ব্যাটিং করতে নামা কুক একাদশের শুরুটা ভালো হয়নি। তাসকিন আহমেদের লাইন লেংথ মেনে করা বোলিংয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বসেন ইমরুল কায়েস। মাত্র ৯ রানেই ফেরেন তিনি।

এরপর দলকে সেখান থেকে টেনে তোলার দায়িত্ব কাঁধে নেন আরেক ওপেনার সাইফ হাসান এবং তিন নম্বরে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজন মিলে প্রতিপক্ষ বোলারদের বিপক্ষে দাপটের সঙ্গে ব্যাট করতে থাকেন। ব্যাকফুটে বেশ কয়েকবার দৃষ্টিনন্দন শট খেলেন সাইফ।
সাইফ এবং শান্ত দুজনই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। তবে এই দুজনের ৯৯ রানের জুটি ভাঙ্গেন তাইজুল ইসলাম। ৬৪ রান করা সাইফকে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলেন এই স্পিনার। এর ৪ রান পর দলীয় ১১৭ রান তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন শান্তও। ব্যাট ব্যাট থেকে আসে ৪২ রান। ৩ উইকেট হারিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় গিবসন একাদশ।
লাঞ্চের পর নেমেই লিটন দাসের স্টাম্প ভেঙ্গে দেন পেসার খালেদ আহমেদ। ৭ রানে লিটন ফিরলেও সৌম্য সরকার এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে এগোতে থাকে শান্তবাহিনী। এরপর ম্যাচে বৃষ্টি বাঁধা হয়ে দাঁড়ালে খানিকক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে।
বিকেল সাড়ে তিনটার পর আবারও খেলা শুরু হলে তাসকিন আহমেদের শিকার হয়ে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। রিয়াদ ৩৪ রান করে আউট হলেও বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে খেলছিলেন সৌম্য সরকার। আউট হওয়ার আগে তুলে নেন ফিফটি।
৫১ রান করে সাইফউদ্দিনের বলে মিড অফে ক্যাচ দেন মুশফিকুর রহিমের হাতে। তার বিদায়ের পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকেনি গিবসন একাদশের ইনিংস। এরপর দুই বলে মোসাদ্দেক ও মুস্তাফিজকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান তাইজুল ইসলাম। মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান।
রায়ান কুক একাদশের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট তুলে নেন তাসকিন আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম। দুটি শিকার মোহাম্মদ মিঠুনের, একটি করে নেন খালেদ আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।