করোনার সুফল পাচ্ছে স্টেডিয়ামগুলো

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
হোম অব ক্রিকেট খ্যাত মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে সারা বছরই কোনো কোনো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সেই চিরচেনা দৃশ্য রাতারাতি পাল্টে গেছে। প্রাণচঞ্চল শের-ই বাংলায় নেই আগের সেই স্পন্দন। তবে খেলা না থাকার সুফলও কম পাচ্ছে না স্টেডিয়ামটি।
এর আগে আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচ থাকায় যথাযথভাবে স্টেডিয়াম রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা সম্ভব হতো না। কিন্তু এখন পুরোদমে চলছে মাঠ পরিচর্যার কার্যক্রম। দেশের ইংরেজি দৈনিক নিউ এজকে এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গ্রাউন্ডস কমিটির ম্যানেজার সৈয়দ আব্দুল বাতেন।

মাঠের ঘাসও বর্তমানে সবুজাভ হয়ে উঠেছে বলে জানান বাতেন। তিনি বলেন, 'সাধারণত যখন কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজ অনুষ্ঠিত হয় তখন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন। যেহেতু কোনো ম্যাচ চলছে না, আমরা মূল কাজগুলো করতে পারছি। এখন যেসব ঘাস বাদামী রঙের ছিল সেগুলো এখন সবুজাভ হয়ে গেছে।'
আউটফিল্ডের ঘাস সতেজ থাকায় আগের চেয়ে বল দ্রুত গড়াবে বলেও মনে করেন বাতেন। তাঁর ভাষ্যমতে, 'আপনি যদি আউটফিল্ডের কথা জিজ্ঞেস করেন তাহলে আমি বলবো যে এখানে বল অনেক দ্রুত যাবে কারণ ঘাসগুলো যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সবুজ।'
তবে শুধু মিরপুর স্টেডিয়ামেই কাজ হচ্ছে এমনটা নয়। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের আউটফিল্ড এবং উইকেট ঠিক রাখার সুযোগ পাচ্ছেন মাঠকর্মীরা। দেশের অন্যতম সেরা এই স্টেডিয়ামের কিউইরেটর জাহিদ রেজা বাবু অপ্রত্যাশিত এই ছুটিকে তাই আশীর্বাদ হিসেবেই দেখছেন।
বাবু বলেন, 'যদিও এই ছুটিটা অপ্রত্যাশিত, তবে এটা মাঠকে ঠিক রাখতে সাহায্য করছে অবশ্যই। এটা নিষ্কাশন ব্যবস্থা পুনরায় ঠিক করার সুযোগ করে দিয়েছে। একই সঙ্গে মৃত ঘাস ছেঁটে ফেলা এবং আউটফিল্ড ঠিক রাখা সম্ভব হচ্ছে। এটি দীর্ঘ একটি পদ্ধতি এবং ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে এই বিরতিটা যথাযথভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।'