ব্যাটিং বিপর্যয়ে তৌহিদ-আকবররা

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
নেপাল অনূর্ধ্ব ১৯ঃ ২৬১/৮ (৫০ ওভার) (সাররাফ-৮১, ঝোরা-৫৬; সাকিব-২/৫১, শাহিন-২/৫৮)
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ঃ ৩০/২ (৬ ওভার) (জয়-৮*, হৃদয়-২*) (সিং-১/১৪, রশিদ-১/১১)
চলমান অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপের আট নম্বর ম্যাচে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দলের সামনে ২৬২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে নেপাল অনূর্ধ্ব ১৯ দল। এই লক্ষ্যে এরই মধ্যে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব দল।
১৯ রানে নেই ২ উইকেটঃ
১৭ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর মাত্র ২ রানের ব্যবধানে ওপেনার অনিক সরকার সাতুও ব্যর্থ হয়ে ফেরেন। পেসার কামাল সিংয়ের বলে আসিফ শেখের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ডানহাতি সাতু। ফলে ১৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল।

ব্যর্থ তানজিদঃ
নেপাল অনূর্ধ্ব ১৯ দলে বিপক্ষে খেলতে নেমে দলীয় ১৭ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় আকবর আলির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল। ৯ রান করে নেপালি পেসার রশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন তিনি।
এর আগে কলম্বোর পি সারা ওভাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টস জিতে নেপাল অনূর্ধ্ব ১৯ দলকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ যুব দলের অধিনায়ক আকবর আলি।এরপর খেলতে নেমে দলীয় ৫৪ রানের মাথায় ২ উইকেট হারায় নেপাল অনূর্ধ্ব ১৯। তবে এরপর ওপেনার পাওয়ান সাররাফ এবং বাঁহাতি ব্যাটসম্যান কুশল মাল্লার ৩৯ রানের জুটিতে বিপদ কাটিয়ে উঠতে থাকে নেপাল যুব দল।
৯৩ রানের সময় তৌহিদ হৃদয়ের বলে শাহিন আলমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মাল্লা। ২৮ রান করে এই বাঁহাতি আউট হলে অধিনায়ক রোহিত পাউদেলকে সঙ্গে নিয়ে ৬৬ রানের দারুণ আরেকটি জুটি গড়েন সাররাফ। এই দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটে দেড়শ রানের কোটা পার করে নেপাল অনূর্ধ্ব ১৯ দল।
এই জুটি শেষ পর্যন্ত ভাঙতে সক্ষম হন ডানহাতি পেসার শাহিন আলম। উইকেট রক্ষক এবং অধিনায়ক আকবরের হাতে ক্যাচ বানিয়ে পাউদেলকে (১৪) সাজঘরে পাঠান তিনি। পরবর্তীতে বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি ওপেনার সাররাফ। ৮১ রান করে বাঁহাতি পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর বলে আকবরের হাতে ক্যাচ দিয়ে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন সাররাফ।
১৭৩ রানের মাথায় পাঁচ নম্বর উইকেটটি হারানোর পর সন্দীপ ঝোরা এবং ভিম শারকির দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে আবারো ঘুরে দাঁড়ায় নেপালি যুবারা। ৭১ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। এই জুটি গড়ার পথে দারুণ একটি হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ডানহাতি ঝোরা।
২৪৪ রানের মাথায় শারকিকে বোল্ড করে জুটিটি ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব। মাত্র এক রান যোগ করে ফিরতে হয় ঝোরাকেও। শামিম হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাকিবের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি।
এরপর আর বেশিদূর যায়নি নেপাল অনূর্ধ্ব ১৯ দল। তাদেরকে থামতে হয় ৮ উইকেটে ২৬১ রানে। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দলের হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন সাকিব এবং শাহিন আলম। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন মৃত্যুঞ্জয়, রকিবুল, মিনহাজুর এবং তৌহিদ।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ একাদশঃ
আকবর আলি (অধিনায়ক ও উইকেট রক্ষক), তৌহিদ হৃদয়, তানজিদ হাসান, অনিক সরকার শাতু, মাহমুদুল হাসান জয়, শামিম হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, মিনহাজুর রহমান, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, রাকিবুল হাসান, শাহিন আলম।
নেপাল অনূর্ধ্ব ১৯ একাদশঃ
রিত গৌতম, পাওয়ান সররাফ, আসিফ শেখ, কুশল মাল্লা, রোহিত পাউদেল (অধিনায়ক ও উইকেট রক্ষক), সন্দীপ ঝোরা, ভিম সারকি, হারি চৌহান, কামাল সিং, রশিদ খান, সাগর ধাকাল।