রশিদ, মুজিবকে গ্রাহ্য করছেন না আরিফুল

ছবি:

টি টোয়েন্টি ফরম্যাটের ক্রিকেটে যথেষ্ট শক্তিশালি একটি দল আফগানিস্তান। বর্তমানে আইসিসি র্যাংকিংয়ের অষ্টম অবস্থানে থাকা এই দলটি বাদবাকি যেকোনো দলের জন্যই হুমকিস্বরুপ। অবশ্য হবে নাই বা কেন?
যে দলে রশিদ খান, মুজিব উর রহমানের মতো বিশ্ব মাতানো স্পিনাররা রয়েছেন সেই দলটির বোলিং ডিপার্টমেন্ট নিয়ে অন্তত চিন্তার কোনো কারণই নেই। আর যে দলের বোলিং লাইন আপ শক্তিশালী তাদের সাফল্য বলা যায় সময়ের ব্যাপার।
সেই বিশ্বমানের বোলিং লাইন আপের বিপক্ষেই এবার পরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে। তাও আবার আফগানদের প্রিয় ফরম্যাট টি টোয়েন্টিতেই। আগামী মাসের শুরুর দিকেই তিন ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামবে টাইগাররা।
দেরাদুনে অনুষ্ঠিতব্য সেই সিরিজে তামিম, সাকিবদের মূল লড়াইটি হবে রশিদ কিংবা মুজিবের সাথে। তাদের ঘূর্ণি সামলাতে যথেষ্ট আটঘাট বেঁধেই মাঠে নামতে হবে ব্যাটসম্যানদের। সফরে যাওয়ার আগে তাই সকলেরই মুখে মুখে একটিই প্রশ্ন বিরাজ করছে।

আফগান স্পিনারদের কিভাবে সামাল দেবে টাইগাররা? এই প্রশ্ন করা হয়েছিলো সিরিজকে সামনে রেখে ঘোষিত ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে ডাক পাওয়া অলরাউন্ডার আরিফুল হককেও। তবে ২৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার খুব একটা ভীত হচ্ছেন না।
বরং আফগানদের থেকে নিজেদেরকেই এগিয়ে রাখছেন তিনি। তাঁর মতে রশিদ এবং মুজিব খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারবে না টাইগারদের ব্যাটিং লাইন আপে। আরিফুল বলেন,
'লেগ স্পিন যে আগে খেলিনি তা নয়। উইকেট মনে হয় সুন্দর হবে। মনে হয় না রশিদ–মুজিবুর খুব একটা কার্যকর হবে। আমরা অনেক ভারসাম্যপূর্ণ দল। ওদের দলটা অতটা ভারসাম্যপূর্ণ নয়। ওদের বোলিং বিভাগ যতটা শক্তিশালী, ব্যাটিং হয়তো ততটা নয়। আমরা আমাদেরই এগিয়ে রাখব।'
অবশ্য দেরাদুনের উইকেটের কথা চিন্তা করেও ভরসা পাচ্ছেন আরিফুল। কারণ সেখানকার উইকেট বরাবরই ব্যাটিং বান্ধব হয়ে থাকে বিধায় টাইগার ব্যাটসম্যানেরা সেখানে ভালো খেলতে পারবেন। আর একাদশে সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টায় থাকবেন এই অলরাউন্ডার নিজেও। বলছিলেন,
'যতটুকু শুনেছি দেরাদুনে উইকেটে ঘাস থাকতে পারে। উইকেট অনেক ভালো, ব্যাটসম্যানরা ভালো করতে পারে—এটা মনে করে যদি আমাকে একাদশে সুযোগ দেয় চেষ্টা করব সেরাটা দেওয়ার।'