শতভাগে সন্তুষ্ট সাকিব

ছবি:

২০১২ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ রান হারের পর মুশফিকের বুকে মাথা রেখে কেঁদেছিলেন। তবে রবিবার নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে শেষ বলে ভারতের বিপক্ষে হারের পরও নিজেকে সাবলীল রেখেছেন সাকিব।
মুষড়ে পড়া সৌম্যকে কাঁধ চাপড়ে দিয়েছেন। নেতার মতোই এসেছিলেন পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মঞ্চে। ম্যাচ জিতলে তার দিকেই থাকতো ম্যাচের সব আলো। তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তিনি আজ পরাজিত দলের অধিনায়ক।
কথা বলার সময় অনেক বারই সাকিবের গলা জড়িয়ে যাচ্ছিল। একটি বাক্য বলার মধ্যেও খেই হারিয়ে ফেলছিলেন। তারপরও নিজেকে শক্ত ভাবে ধরে রেখেছেন তিনি। এর জন্য একটি ধন্যবাদ প্রাপ্যই সাকিবের।

শেষ ওভারে ভয়ংকর চাপ নিয়ে বল করতে আসা অনিয়মিত বোলার সৌম্য সরকারও শেষ বলে হারের পর উইকেটে মাথা গুজে পড়েছিলেন। তরুণ সৌম্যকে এই চাপটা নিতে হয়েছিল পেসার মুস্তাফিজ-রুবেলের বোলিং কোটা পূরণ হয়ে যাওয়াতে।
সাকিব অবশ্য নিজের সিদ্ধান্তটাকেই সঠিক মনে করছেন, ‘আমরা আমাদের সেরা বোলারকেই ১৮ ও ১৯তম ওভারে আনতে চেয়েছি। রুবেল যদি ওই ওভারে ১৫ রান দিত, তাহলেও আমরা ব্যাপারটা সামলে নিতে পারতাম।'
দলের সবাই শতভাগ দিয়েছে বলেই মনে করেন সাকিব, 'সে কিন্তু বোলিং লেংথে খুব ভুল করেনি, দীনেশ কার্তিককে কৃতিত্ব দিতে হচ্ছে। সে এল আর প্রথম বল থেকে ছক্কা মারতে শুরু করল। আমরা জানতাম ১৬৬ রান রক্ষা করা কঠিন। কিন্তু আমরা আশাবাদী ছিলাম। সবাই তাদের সেরা দিয়েছে, শতভাগ।’
১৯তম ওভারে রুবেল ২২ রান দেয়া রুবেলই বাংলাদেশ দলকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন। আগের তিন ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন এই পেসার। সাকিবের বিশ্বাস বারবার এমন হতাশা নিয়ে ফিরবে না বাংলাদেশ।
একটি ফাইনাল ম্যাচে এর থেকে ভালো কিছু চাওয়া যায়না বলেও মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘একটা ফাইনাল থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু চাওয়া যায় না। আমরা দুর্দান্ত খেলেছি, যে কেউ ম্যাচটা জিততে পারত। কিন্তু ভারত স্নায়ুর চাপটা সামলেছে ভালোভাবে।’