promotional_ad

সুজনকে কোচ হিসেবে মানতে পারছেন না বিসিবি পরিচালকরা!

promotional_ad

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দায়িত্ব থেকে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ইস্তফা দেয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনকে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। 


বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটার সন্তুষ্ট হলেও বোর্ড পরিচালকদের মধ্যে থেকে অনেকেই আছেন যারা এই সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধী।বর্তমানে একাধারে বিসিবি পরিচালক এবং ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন সুজন।


আর তাই একজন বিসিবি পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ দলের কোচ পদে কি করে নিয়োগ পান সুজন এই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন কয়েকজন বোর্ড পরিচালক। এক্ষেত্রে অন্তত নীতিবাচক দিক থেকে সুজনকে কোচ হিসেবে সমর্থন করছেন না তাঁরা। 


দেশের শীর্ষ বাংলা দৈনিক প্রথম আলোকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বোর্ড পরিচালক এমনটাই জানিয়েছেন। যদিও এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি তিনি।


সেই বিসিবি কর্মকর্তা বলেছেন, 'নীতিগত ভাবে (সুজনকে নিয়োগ দেয়া) এটা সমর্থন করার প্রশ্নই আসে না। তবে এটা নিয়ে এখন কিছু বলতে চাই না। যা বলার বোর্ড মিটিংয়ে বলবো।'



promotional_ad

আরেক বোর্ড পরিচালক তো সরাসরিই বলে দিয়েছেন বিসিবির কাছ থেকে বেতন নিয়েই যখন চাকরি করতে হবে সুজনকে তখন বোর্ড পরিচালকের পদ থেকে তাঁকে সরিয়েই দেয়া উচিৎ। এক্ষেত্রে সুজনকে রীতিমত ধুইয়েই দিয়েছেন তিনি। বলেছেন,  


'একজন বোর্ড পরিচালক বিসিবির কাছ থেকে বেতন নিয়ে বোর্ডের চাকরি করবেন, এটা কিভাবে হয়? হতে পারে তিনি ভালো কোচ, তো সেই চাকরি করতে চাইলে বোর্ড পরিচালকের পদ ছেড়ে দিক। বোর্ডের অনেক পরিচালক আছে খুবই ভালো প্রশাসক। তাই বলে কি ওই বোর্ড পরিচালককে চিফ অ্যাকাউন্টেন্ট আর সিইও বানিয়ে দেব?'


এদিকে ঢাকার একটি ক্লাবের পরিচালকের মতে সাকিব-তামিমদের কোচের দায়িত্ব নিলে বাড়তি চাপের মধ্যে থাকতে হবে সুজনকে। আর দলের খারাপ পারফর্মেন্সেও তাঁকে সবার আগে জবাবদিহি করতে হবে। এই প্রসঙ্গে সেই বোর্ড পরিচালকের ভাষ্য, 


 'উনি বোর্ডের পরিচালক। সবার সঙ্গে ওনার ভালো সম্পর্ক। কোচের দায়িত্ব নিলে সারাক্ষণ বাড়তি চাপের মধ্যে থাকবেন তিনি। হাথুরুসিংহেকে অনেকেই ফোন দেয়ার সাহস পেত না।'


শুধু তাই নয়, সুজন দায়িত্ব নিলে দলে কোন ক্রিকেটারকে নেয়া হয়েছে বা হয়নি এই নিয়েও প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে বলে অভিমত সেই ক্লাবের পরিচালকের। আর সেই দিন খুব বেশি দূরে নয়, আগামী শ্রীলঙ্কা সিরিজে একটি ম্যাচে হারলেই সুজনের পিন্ডি চটকাতে উঠে পড়ে লাগবে সকলে বলে শঙ্কিত তিনি। তিনি বলেন,



'ওনাকে সবাই এখন নিজের মতামত জানাতে পারবে। অমুককে কেন নিলেন না, তমুককে কেন নিলেন না... এমন বিষয় ওনাকে সামলাতে হবে। বেশি না, শ্রীলঙ্কার সাথে এক ম্যাচ হারলেই এমন হবে। সুজন না চাইলেও তার উপর এমন এই প্রভাব পড়বে। এটা আমাদের সংস্কৃতিতেই আছে।'


জাতীয় দল ছাড়াও আবাহনী লিমিটেডের মতো বড় দলের কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) আসরে ঢাকা ডাইনামাইটসের কোচও তিনি। সুতরাং জাতীয় দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুজনের পক্ষপাতিত্ব আচরণ চলে আসতে বলে মতামত আরেক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবি কর্মকর্তার। সেই পরিচালক বলছিলেন,  


'তিনি (সুজন) যেহেতু জাতীয় দলের বাইরে আরও দুই-একটা দলের কোচ... তার মধ্যে পক্ষপাতমূলক আচরন চলে আসতে পারে। খেলোয়াড়রা নিজেরাও ভেবে বসতে পারে, উনি জাতীয় দলের কোচ... ওনার দলে খেললে জাতীয় দলের সুযোগ পাব।'



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball