লয়েড-রিচার্ডস-লারাদের নিয়ে জরুরী সভা ডেকেছে ক্যারিবিয়ান বোর্ড

ছবি: ভিভ রিচার্ডস (বামে) ও ক্লাইভ লয়েড (ডানে), ফাইল ফটো

‘ক্রিকেট স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অফিসিয়েটিং কমিটি’ নামের বিশেষ কমিটিতে থাকছেন আরও তিন সাবেক ক্রিকেটার শিবনারায়ন চন্দরপল, ডেসমন্ড হেইন্স ও ইয়ান ব্র্যাডশ। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সকে ‘খুবই হতাশাজনক’ বলে ব্যাখ্যা করেছে বোর্ড। উদ্দেশ্য একটাই, ধ্বংসস্তূপ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজে বের করা।
‘রেকর্ড গড়াই হয় ভাঙার জন্য’, মুল্ডারকে লারা
১১ জুলাই ২৫
আসলে ঘুরে দাঁড়ানোর মতো কিছু রাখেননি রস্টন চেইজরা। সিরিজের তিন টেস্টেই ম্যাচ চতুর্থ দিন পর্যন্ত যায়নি। জ্যামাইকায় সিরিজের শেষ টেস্টে ২০৪ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়ায় মাত্র ২৭ রানে গুটিয়ে যায় পুরো দল। তাও মাত্র ১৪.৩ ওভারে! ৭০ বছরের মধ্যে টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বনিম্ন স্কোর তো বটেই, ১৮৭৭ সালে টেস্ট শুরুর পর দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর এটি।
এক বিবৃতিতে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের সভাপতি ড. কিশোর শ্যালো বলেন, 'এমন বেদনাদায়ক পরাজয়ের পর সমগ্র ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকটি নির্ঘুম রাত কাটবে।'

'আমাদের অনেকের কিছু নির্ঘুম রাত কাটবে, খেলোয়াড়দের জন্যও, যারা এই হারের জন্য সমানভাবে ব্যথিত… আমরা পুনর্গঠনের পর্যায়ে আছি। পরবর্তী প্রজন্মের ওপর বিনিয়োগ করছি এবং সেই চেতনাকে পুনরুজ্জীবিত করছি, যা দীর্ঘদিন ধরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটকে বিশ্বের কাছে একটি পরাশক্তি করে তুলেছে।'
আরও বিব্রতকর কিছু রেকর্ডও যুক্ত হয়েছে সেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে দলের সাত ব্যাটার শূন্য রানে আউট হন, যা টেস্ট ইতিহাসে নতুন রেকর্ড। দলের প্রথম ছয় ব্যাটার মিলে করেছেন মাত্র ৬ রান, এটিও সর্বনিম্ন। বোর্ড স্বীকার করছে, এ থেকে বের হয়ে আসা সহজ হবে না।
ড. শ্যালো জানিয়েছেন, লারা-রিচার্ডসদের মত কিংবদন্তিদের ডাকা হয়েছে শুধুমাত্র পরামর্শের জন্য নয়, বরং তারা আগামী দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট পুনর্গঠনের কাজেও যুক্ত থাকবেন, 'ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট উন্নয়নের পরবর্তী ধাপে তারা সক্রিয় থাকবেন।'
টেস্ট সিরিজ শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবার মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে। এরপর ঘরের মাঠেই আসবে পাকিস্তান। তাদের বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজ খেলবে চেইজরা। এই নতুন সফরগুলোতেই হয়তো দেখা যাবে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের পুনর্জন্মের কোনো ইঙ্গিত।