‘বড় স্কোর হওয়ায় মারতে গিয়ে আমরা দ্রুত উইকেট হারিয়েছি’

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
নীতিশ কুমার রেড্ডি এবং রিংকু সিংয়ের হাফ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের জন্য ২২২ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল ভারত। বড় লক্ষ্য তাড়ায় দারুণ এক শুরুর বিকল্প ছিল না সফরকারী ব্যাটারদের সামনে। আর্শদীপ সিংয়ের প্রথম ওভারে তিন চারে মেরে সেটার আভাসই যেন দেয়ার চেষ্টা করলেন পারভেজ হোসেন ইমন। যদিও পরের ওভারেই রানের গতি কমে গেছে বাংলাদেশের। আগের ওভারে আর্শদীপকে তিন চার মারা ইমন এবার তারই বলে বোল্ড হয়ে ফিরলেন।
বাঁহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ ডেলিভারিতে ইনসাইড এজ হলেন মাত্র ১৬ রানে। নাজমুল হোসেন শান্তও উইকেটে এসে নিজের খেলা প্রথম দুই বলেই চার মেরেছেন। বড় রান তাড়ায় যা চাই সেটাই করার চেষ্টা করলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। তবে ইমনের মতো ইনিংস বড় করতে পারলেন না। ওপেনার লিটন দাসও ফিরেছেন ব্যর্থতার পাল্লা ভারী করে।

আসা-যাওয়ার মিছিলে পরবর্তীতে যোগ দিয়েছেন তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেনরা। শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৩৯ বলে ৪১ রানের ইনিংসে কেবল বাংলাদেশের হারের ব্যবধানই কমেছে। ৯ উইকেটে ১৩৫ রান তোলা সফরকারীরা ৮৬ রানে হেরে সিরিজ খুইয়েছে এক ম্যাচ হাতে রেখেই। ম্যাচ শেষে তাসকিন আহমেদ জানালেন বড় রান হওয়ায় মারতে গিয়ে তারা দ্রুত উইকেট হারিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে ভারতের প্রশংসা করে সংবাদ সম্মেলনে তাসকিন বলেন, ‘ওরা (ভারত) বিশ্বের সেরা দল। ওরা আমাদের চেয়ে অভিজ্ঞ। ওদের কন্ডিশনে তো ওরা ভালোই। উইকেট পড়লেও ওরা আমাদের বোলারদের বিপক্ষে চড়াও হয়েছে। বড় স্কোর হওয়ায় মারতে গিয়ে আমরা দ্রুত উইকেট হারিয়েছি, ছন্দ হারিয়েছি।’
দিল্লির রানপ্রসবা উইকেটে ভারত যেখানে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান তুলেছে বাংলাদেশ করতে পেরেছে ১৩৫ রান। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ১২৭ রানের বিপরীতে ভারত ম্যাচ জিতে নিয়েছিল ৪৯ বল বাকি থাকতেই। তাসকিন মনে করেন, আইপিএলে হাই স্কোরিং উইকেটে খেলার কারণে টি-টোয়েন্টিতে ভারতের এমন উন্নতি হয়েছে।
সেই সঙ্গে এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন ভারতের জন্য যেখানে ১৮০ রান খুবই স্বাভাবিক সেখানে বাংলাদেশের জন্য তা ১৩০-১৫০। আইপিএলের প্রসঙ্গ ধরে তাসকিন বলেন, ‘এটা অবশ্যই একটা ব্যাপার। আইপিএলে বেশির ভাগ ম্যাচই হাই স্কোরিং হয়। ওরা জানে কিভাবে হাই স্কোরিং রান তাড়া করতে হয়, হাই স্কোর কিভাবে করতে হয়। ওদের কাছে ১৮০-২০০ রান খুবই স্বাভাবিক। আমাদের জন্য যেটা ঘরের মাঠে ১৩০, ১৪০, ১৫০ রান। সুতরাং আমাদের এই অভ্যাসটা কিন্তু খুবই কম, এটা বাস্তবতা।’
ভালো উইকেটে ব্যাটিং-বোলিং নিয়ে ডানহাতি পেসার বলেন, ‘ওদের মতো শুয়ে-বসে খেলতে গেলে আমাদের দেশে হয়তো বল মুখে লাগবে। ওরা ছোট থেকেই ভালো উইকেটে খেলে এভাবে খেলার অভ্যাস করেছে।’