টি-টোয়েন্টি থেকে মাহমুদউল্লাহর অবসর

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে ২০ ওভারের ফরম্যাটকে বিদায় বলছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সেই গুঞ্জন ছিল সোমবার রাত থেকেই। সবাই অপেক্ষায় আছেন আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। দিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগে সংবাদ সম্মেলনে সেই ঘোষণা জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশের এই ব্যাটার।
মাহমুদউল্লাহ টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন ২০২১ সালের জুলাইয়ে। সেই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে নাটকীয়ভাবে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন এই ক্রিকেটার। তার সেই অবসর নিয়ে অনেক নাটকও হয়েছিল। অবসর নিয়েছেন কি নেননি তা নিয়ে জলঘোলা করা হয়েছিল।

অবশ্য এরপর আর মাহমুদউল্লাহকে টেস্ট খেলতে দেখা যায়নি। এবার আর কোনো নাটকীয়তা রাখতে চাইলেন না মাহমুদউল্লাহ। সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবেই অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন এই ক্রিকেটার। ভারতের বিপক্ষে চলতি সিরিজই তাঁর শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, 'ভারত সিরিজের অনুশীলন শুরুর সময়ই এসব নিয়ে আলচনা করা শুরু করেছিলাম। পরিবার শুরুতে বোঝেনি, তারা ভেবেছিলো এইটা সঠিক সময় নয়। আমি নানাভাবে পরিবারকে বুঝিয়েছি, এরপর তারা বুঝেছে। তারপর আমি বোর্ড সভাপতি এবং নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলেছি।'
সব কিছু ঠিক থাকলে ১২ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি দিয়ে সীমিত ওভারের এই ক্রিকেটকে বিদায় বলছেন মাহমুদউল্লাহ। অবশ্য এই সিরিজ শুরুর আগেই মাহমুদউল্লাহর টি-টোয়েন্টি ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
যদিও জানা গেছে মাহমুদউল্লাহ আগে থেকেই বিসিবির শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিজের অবসরের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। বিসিবিও তার মাঠ থেকে বিদায় নেয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় মাহমুদউল্লাহর।
এরপর এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের বড় বড় সাফল্য এনে দিয়েছেন এই ক্রিকেটার। ১৩৯ টি টোয়েন্টির ক্যারিয়ারে ১১৭.৭৪ স্ট্রাইক রেটে ২ হাজার ৩৯৫ রান করেছেন তিনি। ব্যাটিং গড় ২৩.৪৮। ভারতের বিপক্ষে দুই টি-টোয়েন্টি শেষে মাহমুদউল্লাহর নামের পাশে থাকবে ১৪১ টি-টোয়েন্টি। তার চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড আছে কেবল দুইজন বাংলাদেশির।