কষ্ট না থাকলেও বিদায়ী টেস্টে কান্না লুকাতে চান অ্যান্ডারসন

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
লর্ডসে খেলতে নামার আগে নিজের সবশেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচেও ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে ৭ উইকেট নিয়েছেন জেমস অ্যান্ডারসন। এমন পারফরম্যান্সের পরও লর্ডসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতি টানছেন ইংল্যান্ডের সফলতম এই পেসার। এমন কিছু নিয়ে কষ্ট না থাকলেও নিজের বিদায়ী ম্যাচে কান্না লুকাতে চান অ্যান্ডারসন।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০৩ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে অভিষেক হওয়া অ্যান্ডারসন দুই দশকের বেশি সময়ের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে নিয়েছেন ৭০০ উইকেট। ইতিহাসের তৃতীয় ও প্রথম পেসার হিসেবে এমন কীর্তি গড়া অ্যান্ডারসনের সামনে সুযোগ ছিল শেন ওয়ার্নকে ছাড়িয়ে তালিকার দুইয়ে ওঠে আসার। আর মাত্র আটটি উইকেট নিলেই ওয়ার্নকে ছুঁয়ে ফেলতেন তিনি।

একটি উইকেট বেশি নিলে ছাড়িয়ে যেতে পারতেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি সাবেক লেগ স্পিনারকেও। লর্ডস টেস্টের দুই ইনিংস মিলে ৯ উইকেট নিতে পারলে অবশ্য এখনও সুযোগ থাকছে তার। তবে সেটা কঠিন হয়ে গেছে গত এপ্রিলে নেয়া এক সিদ্ধান্ত। ৪২ বছর ছুঁইছুঁই অ্যান্ডারসন চলতি বছরের এপ্রিলে ম্যানচেস্টারের এক হোটেলে বসে আলোচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
যেখানে উপস্থিত ছিলেন ইংল্যান্ডের প্রধান কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর রব কি। তাদের পরিকল্পনা শোনার পর লর্ডস টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন অ্যান্ডরসন। ইংল্যান্ডের ভবিষ্যত পরিকল্পনায় কষ্ট না পেয়ে বরং প্রশংসা করেছেন ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সফলতম এই পেসার।
এ প্রসঙ্গে অ্যান্ডারসন বলেন, ‘আমি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি জানলাম, তারা যে আমাকে তাদের পরিকল্পনা ও কারণগুলো আমাকে বিস্তারিত জানালেন, সে কারণে তাদের প্রশংসাও করি। আমি বিষয়টি মেনে নিই, সিদ্ধান্তটি নিয়ে আমার কোনো মনঃকষ্টও নেই।’
ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময়ে পেশাদারিত্বের সর্বোচ্চটা দেখানোর চেষ্টা করেছেন অ্যান্ডারসন। তবে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে এসে আবেগ পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখছেন তিনি। নিজের শেষ টেস্টে ভালো খেলতে ও বোলিং করতে চাওয়া এই পেসারের আপাতত মনোযোগ কান্না আটকে রাখার।
অ্যান্ডারসন বলেন, ‘ম্যাচে আমি কেমন অনুভব করব বা ম্যাচটি নিয়ে খুব বেশি না ভাবার চেষ্টা করছি। যতটা সম্ভব মনোযোগ ধরে রাখার চেষ্টাই করছি। এই সপ্তাহে আমার জন্য বড় ব্যাপার হলো ভালো খেলতে চাওয়া, ভালো বোলিং করা ও জয় পাওয়া। আমি নিশ্চিত, সপ্তাহের মাঝে আবেগের পালাবদল হবে। তবে আপাতত মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি যেন কান্না আটকে রাখতে পারি।’