স্টার্কের আগুন আর বোল্যান্ডের হ্যাটট্রিকে ২৭ রানে শেষ ক্যারিবিয়ানরা

ছবি: ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জেতা অস্ট্রেলিয়া দল, ফাইল ফটো

প্রথম পাঁচ ওভারেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্কোরবোর্ডে তখন পাঁচ উইকেটে সাত রান! এরপর স্কট বোল্যান্ড বোলিংয়ে এলেন আর হ্যাটট্রিক করে যেন কফিনে শেষ পেরেক মেরে দিলেন! ফলে ১৪.৩ ওভারে মাত্র ২৭ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এত দ্রুত সবকিছু ঘটবে, তা ভাবিনি: স্টার্ক
২ ঘন্টা আগে
এই ইনিংস টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। মাত্র ১ রানের ব্যবধানে বেঁচে যায় ১৯৫৫ সালে নিউজিল্যান্ডের করা ২৬ রানের রেকর্ড। এমন দিনে বাঁচাও যেন শুধুই লজ্জা কিছুটা কমানো।
দিনটা শুরুই হয়েছিল দুর্দান্ত প্রতিরোধ দিয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই জোসেফ- শামার এবং আলজারি মিলে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন মাত্র ১২১ রানে। মনে হচ্ছিল, হয়তো একটা চমক অপেক্ষা করছে। সিরিজে প্রথমবার জিততে চলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু না, স্টার্ক-বোল্যান্ড-জস হ্যাজেলউডদের সামনে সেই আশা মুহূর্তেই ভেঙে চুরমার।

শুরুর সেই স্টার্কই হয়ে যান দিনের নায়ক। ৭.৩ ওভারে ৬ উইকেট, সেটাও মাত্র ৯ রানে! গোলাপি বলের টেস্টে এমন রাজত্ব আগে কখনোই দেখা যায়নি। আর এই ম্যাচেই তিনি অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ বোলার হিসেবে ৪০০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছে গেলেন।
৩০ রানের নিচে অল আউট হওয়া অবশ্যই খুব লজ্জাজনক: চেজ
২ ঘন্টা আগে
গোলাপি বলে টেস্ট মানে যেন স্টার্কের 'শো'! ২৭ ইনিংসে তার শিকার এখন ৮১ উইকেট। যেখানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিকারকারীর উইকেট ৫০-এর নিচে। ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন পাঁচবার, অন্য কেউ পারেননি দু'বারের বেশি।
স্টার্কের পর আলোচনায় থাকবেন স্কট বোল্যান্ড। ইনিংসের ১৪তম ওভারে পরপর তিন বলে তুলে নেন হ্যাটট্রিক। জাস্টিন গ্রেভস, শামার ও ওয়ারিক্যানকে বিদায় করেছেন এই পেসার। ২০১০ সালের পর প্রথম কোনো অজি বোলার হ্যাটট্রিক করলেন, তিনিই অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের দশম।
২০৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে এ দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাত ব্যাটার আউট হন শূন্য রানে! টেস্ট ইতিহাসে এর আগে কোনো ইনিংসে এতজন ব্যাটসম্যান ‘ডাক’ মারেননি।
শেষ হাসি আবারো হাসেন স্টার্ক। ইনিংসের শেষ উইকেট জেইডেন সিলসকে বোল্ড করে ম্যাচটা শেষ করেন তিনিই। ম্যাচসেরা তো বটেই, সিরিজ সেরাও হলেন এই বাঁহাতি পেসার। জয়টা এল ১৭৬ রানের বিশাল ব্যবধানে, সিরিজটা শেষ হলো ৩-০ হোয়াইটওয়াশে।