জয়ের জন্য ১৫০ রানই যথেষ্ট ছিল: অক্ষর

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
অক্ষরকে এখনো ডিনার করাননি রোহিত
২৬ ফেব্রুয়ারি ২৫
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৬৮ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত। এই ম্যাচে জস বাটলারের দলকে ১৭২ রানের লক্ষ্য দেয় রোহিত শর্মার দল। যদিও অক্ষর প্যাটেল জানতেন, ১৫০ রানের লক্ষ্য দিতে পারলেই সেই ম্যাচটি জিতবে ভারত।
মূলত গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামের উইকেটটি ছিল স্পিন সহায়ক। ব্যাটারদের জন্য সেই উইকেটে ব্যাট চালানো খুব একটা সহজ ছিল না। যার কারণে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়েন অক্ষর।

মাত্র ২৩ রান খরচা করে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হওয়া এই স্পিন বোলিং অলরাউডার বলেন, 'এই পিচে ১৫০ রানই যথেষ্ট ছিল। ব্যাট করতে নেমে আমরা সেটা বুঝতে পেরেছিলাম। কিন্তু আমাদের ব্যাটারেরা ১৭০ রান তুলে দেয়। ফলে আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।'
‘ভারতের ‘বি’ দলকে হারাতেও পাকিস্তানের ঘাম ঝরবে’
২৫ ফেব্রুয়ারি ২৫
ম্যাচে ১৮.২ ওভারেই ভারত ১৫০ রান পার করে যায়। শেষদিকে হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা এবং অক্ষরের দাপটে বড় সংগ্রহ গড়ে ভারত। বোলিংয়ে নেমেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন ভারতের তিন স্পিনার অক্ষর, জাদেজা এবং কুলদিপ যাদব।
তিনজন মিলে ১১ ওভারে দেন ৫.২৭ গড়ে ৫৮ রান। অক্ষরের মতোই তিন উইকেট নেন কুলদিপ। রান খরচা করেন আরও কম (১৯)। জাদেজা উইকেট না পেলেও তিন ওভারে দেন মাত্র ১৬ রান। ১৭২ রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড শেষ হয়ে যায় ১০৩ রানে।
নিজেদের বোলিং নিয়ে অক্ষর আরও বলেন, 'বড় ম্যাচে দলের মধ্যে কথা হওয়াটা খুব জরুরি। বিশ্বকাপে আমাদের কাছে সব ম্যাচই বড়। আমি যখন প্রথমে বল করি, তখন থেকেই (রবীন্দ্র) জাদেজা এবং কুলদিপকে বলতে থাকি পিচে কী হচ্ছে না হচ্ছে। জোরে বল করলেও সেটা থমকে যাচ্ছিল। ১০ ওভারের বিরতির সময় আমি জাড্ডু ভাইদের সেটা বলি।'
'আমার মনে হয়েছিল শর্ট লেংথে বল করলে ব্যাটারদের কাট করতে সুবিধা হচ্ছিল। তাই আরও সামনের দিকে বল করার কথা বলি। বলের গতির হেরফের করতে বলি। এই উইকেটে ব্যাট করা সহজ ছিল না। এই ধরনের কথাবার্তা হলে সকলের সুবিধা হয়। ওভারের মাঝেও আমরা কথা বলতে থাকি। যখনই সময় পাই আমরা অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিই।'