শুক্কুরের সেঞ্চুরিতে শাইনপুকুরের জয়, বিদায় মাশরাফিদের

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
মৌসুমটা দারুণভাবেই শুরু করেছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। কিন্তু মাঝে টানা তিন পরাজয়ের কারণে সুপার লিগে খেলার শঙ্কা জাগে দলটির। ফলে শেষ ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে জয় ছাড়া অন্য কিছু মাথায় ছিল না মাশরাফি বিন মর্তুজাদের। কিন্তু এদিন তাদের বিপদ বাড়িয়ে সেঞ্চুরি করেন শাইনপুকুরের ইরফান শুক্কুর। তার অপরাজিত ইনিংসে ভর করেই ২৫৬ রানের পুঁজি পায় দলটি। জবাবে রূপগঞ্জের হয়ে আব্দুল হালিম ৬০ রানের ইনিংস খেললেও ৬৭ রানে হারতে হয় দলটিকে।
ডিপিএল থেকে নিজের নাম সরিয়ে নিলেন সাকিব
২৩ ফেব্রুয়ারি ২৫
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নাহিদ রানার তোপের মুখে পড়ে রূপগঞ্জ। আগের ম্যাচে ১১৪ রানের ইনিংসে খেলা তৌফিক খান এদিন ফিরেছেন মাত্র ১৯ রান করে। নাহিদের বলে লং অফে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। একই ওভারে রানের খাতা খুলার আগে মমিনুল হককে সাজঘরে পাঠান এই পেসার। আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম এদিন দেখেশুনে ইনিংস বড় করার চেষ্টা করেন।
সেই চেষ্টায় বাঁধা হয়ে দাঁড়ান মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। এই পেসারের গুড লেংথ ডেলিভারিতে বোল্ড হলে ২৭ বলে ৫ রান করে ফেরেন সাদমান। ফলে ৩৬ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পরে দলটি। এই ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার ইমরানুজ্জামান ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। কিন্তু দুজনের ৩৪ রানের জুটিতে ফাটল ধরিয়ে দলটির ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামান নাহিদ।

এই পেসারের শর্ট ডেলিভারিতে খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইমরানুজ্জামান। ১৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর উইকেটে থিতু হয়ে থাকা বিপ্লব আগ্রাসী হতে গিয়ে নিজের উইকেট বিলিয়ে এসেছেন। রিশাদ ইসলামের শর্ট বলে সামনে এসে খেলতে গেলে বল হালকা টার্ন পায়। সেই সুযোগে ৩৪ রান করা এই ব্যাটারকে স্টাম্পিং করেন উইকেটরক্ষক আকবর আলি।
এরপর শামিম হোসেন পাটোয়ারি ৪, শুভাগত হোম ৯ ও দুই রান করে ফিরেছেন শাহিদুল ইসলাম। মাশরাফির ব্যাট থেকে আসে ৯ রান। দলীয় ১১১ রানেই ৯ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। সবশেষ হালিম ও আল আমিন হোসেনের ৭৮ রানের জুটি দলটির পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে শুধু। পাঁচটি করে ছক্কা ও চার হাঁকিয়ে অপরাজিত থাকেন হালিম। আল আমিন অপরাজিত ছিলেন ২২ রানে। শাইনপুকুরের হয়ে ৮ ওভারে ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন নাহিদ।
এদিন সাভারের বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ৩ নম্বর মাঠে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে শাইনপুকুর। শুরুতেই তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট হারায় দলটি। এরপর জিসান আলম ৪২, খালেদ হাসান ৩২ ও মার্শাল আইয়ুব ৩৫ রান করলেও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হয়েছেন। অধিনায়ক আকবর ফিরেছেন পাঁচ রান করে। তবে উইকেটের অন্য পাশে থিতু হয়েছিলেন শুক্কুর।
বাকিদের যাওয়া-আসার মিছিলে ৪৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন শুক্কুর। রবিউল হককে নিয়ে রান তুলেতে থাকেন তিনি। কিন্তু ১৪ রান করা রবিউল রান আউটে কাটা পরেন। পরের ওভারে শূন্য রানে রিশাদও ফেরেন রান আউট হয়ে। এ সময় ৮২ বলে সেঞ্চুরির দেখা পান শুক্কুর। সবশেষ ৮৮ বলে ১০৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। রূপগঞ্জের হয়ে আল আমিন, শুভাগত, শহিদুল, মাশরাফি ও মমিনুল একটি করে উইকেট নিয়েছেন।