ফিলিপসের স্পিনে কক্ষপথে ফিরলেও জয় থেকে দূরে নিউজিল্যান্ড

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আরেকটি সেমি ফাইনালে হার প্রোটিয়াদের, ফাইনালে নিউজিল্যান্ড
১৫ ঘন্টা আগে
দ্বিতীয় দিনেই ওয়েলিংটন টেস্টের নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। যদিও তৃতীয় দিনে নিউজিল্যান্ডকে 'কিছুটা' ম্যাচে ফিরিয়েছেন গ্লেন ফিলিপস। পার্ট-টাইম এই স্পিনারের ঘূর্ণিতে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৬৪ রানেই অলআউট হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ৩৬৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে কিউইরা অবশ্য সস্তিতে নেই। ১১১ রান তুলতেই তিন উইকেট হারিয়েছে তারা। ম্যাচ জিততে আরও ২৫৮ রান প্রয়োজন স্বাগতিকদের। এই ম্যাচটি জিততে পারলে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড গড়বে কিউইরা।
তৃতীয় দিনে বল একটু পুরোনো হতেই অধিনায়ক টিম সাউদি বোলিংয়ে আনেন ফিলিপসকে। দিনের প্রথম উইকেটটা অবশ্য পেয়েছেন ম্যাট হেনরি। আগের দিনের নাইটওয়াচম্যান নাথান লায়নকে ফেরান তিনি। ইনিংসের ১৬তম ওভারে লায়নকে ফেরানোর আগে তিনি অবশ্য ছয়টি চারে ৪১ রান করে ফেলেন।

ইনিংসের ২১তম ওভারে প্রথমবার বোলিংয়ে আসেন ফিলিপস। প্রথমে উসমান খাওয়াজাকে ফেরান তিনি। তার ওপর চড়াও হতে গিয়ে স্টাম্পড হন ৬৯ বলে ২৮ রান করা খাওয়াজা। এরপর একে একে ক্যামেরন গ্রিন, ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ ও অ্যালেক্স ক্যারিকে ফেরান ফিলিপস।
পরিসংখ্যান গুরুত্বপূর্ণ নয়, এগুলো বিশ্লেষণ করা আপনাদের কাজ: কোহলি
১৯ ঘন্টা আগে
আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান গ্রিন এবার করেন ৮০ বলে ৩৪ রান। শর্ট লেগে উইল ইয়াংকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ট্রাভিস হেডের ব্যাটে আসে ৩৬ বলে ২৯ রান। লংঅফে স্কট কুগেলেইনকে ক্যাচ দেন তিনি।
ইয়াংকে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে প্রথম বলেই ফিরে যান মার্শ। রানের খাতাই খোলা হয়নি তার। ক্যারি ফিরেছেন একটু পরই। নয় বলে তিন রান করে শর্ট কভারে সাউদির হাতে ক্যাচ দেন এই উইকেটরক্ষক। ফিলিপসের সৌজন্যে ১৩৯ রানে সাত উইকেট হারায় দলটি।
পরে বোলিংয়ে ফিরে প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ককে তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করেন হেনরি। ৩৬৯ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ৫৯ রানের মধ্যে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার টম লাথাম, ইয়াং ও কেন উইলিয়ামসনকে হারায় স্বাগতিকেরা।
৩ উইকেটই নেন অস্ট্রেলিয়ার স্পিনাররা। লায়ন দুটি আর হেড একটি। যদিও চতুর্থ উইকেট জুটিতে রাচিন রবীন্দ্র এবং ড্যারিল মিচেল দলের আর কোনো ক্ষতি হতে দেননি। দুজন মিলে ৫২ রান যোগ করে অবিচ্ছিন্ন আছেন। রাচিন টেস্ট ক্যারিয়ারের তার প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন।