বিশ্বকাপে চোখ রেখে বিপিএলে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিতে চান খালেদ

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
হাসানের পাশাপাশি খালেদকেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিচ্ছে বাংলাদেশ
১১ ফেব্রুয়ারি ২৫
জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নজর কাড়তে পারলে সুযোগ মিলতে পারে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে। এমনটা ভালো করেই জানেন খালেদ আহমেদ। বিপিএল খেলার সময় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথাও মাথায় রাখছেন ডানহাতি এই পেসার। শুধু তাই নয় বর্তমানে টেস্ট দলের নিয়মিত সদস্য খালেদ খেলতে চান ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতেও।
বিশ্বকাপ ও সংক্ষিপ্ত সংস্করণে নজর দেয়া খালেদের আপাতত চাওয়া বিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হওয়া। ফরচুন বরিশালের হয়ে এখন পর্যন্ত চারটি ম্যাচ খেলে সাতটি উইকেট নিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। খালেদের চেয়ে বেশি উইকেট আছে কেবল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিলাল খানের। বর্তমানে দুইয়ে থাকলেও টুর্নামেন্ট শেষে সবার উপরেই থাকতে চান তিনি।
ম্যাচ শেষে এ প্রসঙ্গে খালেদ বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বলা হয় ব্যাটারদের খেলা। আমরা বোলার যারা আছি চেষ্টা থাকে সবসময় ভালো বল করা এবং ব্যাটার যাতে মারতে না পারে। যেটা বললেন সামনে যেহেতু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আমার চেষ্টা থাকবে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি খেলার। এখন তো টেস্টই বেশি খেলা হয়। এখন হয়ত দুই নম্বরে আছি চেষ্টা থাকবে টুর্নামেন্ট শেষে যেন আমি সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হতে পারি।’

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে জয়ের খুব কাছেই ছিল বরিশাল। তবে সেই ম্যাচটি জিততে পারেনি তামিম ইকবালের দল। খালেদের করা সেই ওভারে ১৩ রানের সমীকরণ মিলিয়ে কুমিল্লাকে জয় এনে দেন ম্যাথু ফোর্ড। যদিও সেদিন প্রথম তিন ওভারে ভালো বোলিংই করেছিলেন খালেদ। ডানহাতি এই পেসার মনে করেন, সেদিন তার ফিল্ডিং সেট আপে খানিকটা ভুল ছিল।
এমন বিপিএলে বিদেশিরা কেউ বিনিয়োগ করবে না: মিজানুর
১১ ফেব্রুয়ারি ২৫
বরিশাল সেই ম্যাচ হারার পর বাদ পড়েন খালেদ। যদিও এক ম্যাচ পরই বরিশালের একাদশে ফেরেন। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে খেলতে নেমে ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে ফিল্ডিং সেট আপ নিয়ে আলোচনা করে সেটি অনুযায়ী অনুশীলন করে সাফল্য পেয়েছেন বলে জানান খালেদ। সেই সঙ্গে এক ম্যাচ বিশ্রাম পাওয়ায় চিন্তার করার সুযোগ পেয়েছিলেন বলে মনে করেন তিনি।
খালেদ বলেন, ‘দেখুন, শেষ ম্যাচটা ভালো যায়নি এটা না। আমি প্রথম তিন ওভার ভালো বোলিং করেছি, শেষ ওভারটা ফিফটি-ফিফটি ছিল হয়তো। কিন্তু ব্যাটারের দিকে চলে গেছে, আমার পরিকল্পনায় কিছু ভুল ছিল। সেখান থেকে পরবর্তী ম্যাচ যেহেতু বিশ্রাম পেয়েছি আমার চিন্তা করার সময় ছিল। আমি বড় ভাইদের সঙ্গে কথা বলেছি ফিল্ড সেটা আপ কেমন হলে ভালো হয়। তো উনারা আমাকে নির্দেশনা দিয়েছে। সেভাবে আমি এখানে অনুশীলন করেছি। আলহামদুলিল্লাহ আজকে একটু হলেও ফলাফল এসেছে।’
রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে বিপিএলের এবারের মৌসুম শুরু করেছিল বরিশাল। সাকিব আল হাসানদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ জিতলেও পরবর্তীতে শুধু হারতেই হচ্ছিলো তামিমের দলের। হ্যাটট্রিক হারের পর সিলেটের বিপক্ষে জিতে জয়ের ফিরেছে তারা। টানা তিন ম্যাচ হারায় ড্রেসিং রুমে পরিস্থিতি কেমন ছিল সেটা জানতে চাওয়া হয়েছিল খালেদের কাছে।
এমন প্রশ্নের জবাবে খালেদ বলেন, ‘না না, ওই রকম না। এখানে অনেক সিনিয়র ক্রিকেটার ছিল উনারা জানে কিভাবে কামব্যাক করতে হয়। আজকে দেখেছেন সবাই ব্যাটিং ভালো করেছে। উনাদের কাছ থেকে আমরা শিখছি যে ওই পরিস্থিতিতে তারা কিভাবে কামব্যাক করতে পারে। আমরাও উনাদের সঙ্গে কথা বলেছি যে ভাই আমরা এই পরিস্থিতি থেকে কিভাবে বেরিয়ে আসতে পারি। সবাই এক ছিলাম, আজকে আলহামদুলিল্লাহ আমরা জিততে পেরেছি।’