‘শেষে যা ঘটেছে, ওটা খেলারই অংশ’, গিলের আগ্রাসন নিয়ে রাহুল

ছবি: জ্যাক ক্রলিকে শাসাচ্ছেন শুভমান গিল, ফাইল ফটো

ইংল্যান্ডের ৩৮৭ রানের জবাবে ভারতও অলআউট হয় ৩৮৭ রানে। এরপর উইকেটে আসেন দুই ইংলিশ ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট। জসপ্রিত বুমরাহর প্রথম ওভারে তৃতীয় বলটি করার ঠিক আগে হঠাৎ করে সরে দাঁড়ান ক্রলি। তার দাবি, বোলারের পেছনে কিছু নড়াচড়া হচ্ছিল।
গিলের ভুলে ২৫০ কোটি রুপি ক্ষতি হতে পারে ভারতের
১০ জুলাই ২৫
কিন্তু বুমরাহ এবং অধিনায়ক শুভমান গিল তাতে সন্তুষ্ট হননি। স্লিপ কর্ডন থেকে গিল রীতিমতো চিৎকার করে অসন্তোষ প্রকাশ করেন ক্রলির উদ্দেশে। পঞ্চম বলে ক্রলির গ্লাভসে বল লাগলে তিনি দ্রুত গ্লাভস খুলে ফিজিও ডাকেন। তাতেই শুরু হয় উদ্বেগজনক পরিস্থিতি।

ভারতীয় খেলোয়াড়রা দুই ওপেনারের চারপাশ ঘিরে ফেলেন। অধিনায়ক গিল ও ক্রলি মুখোমুখি হয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন।
রাহুলের সেঞ্চুরির দিনে ইংল্যান্ডের সমান ৩৮৭ রানে থামল ভারত
৯ ঘন্টা আগে
গিলের সঙ্গে যোগ দেন ভারতের পেসার মোহাম্মদ সিরাজও। মূলত শেষ বিকেলে উইকেটের সুবিধা নিয়ে ইংল্যান্ডের একটি উইকেট নিতে চেয়েছিল ভারত। অপরদিকে ইংল্যান্ডের ওপেনারদের লক্ষ্য ছিল সময় নষ্ট করে বিনা উইকেটে ড্রেসিংরুমে ফেরা।
রাহুল বলেন, 'শেষে যা ঘটেছে, ওটা খেলারই অংশ। আমি একজন ওপেনার হিসেবে জানি, শেষ পাঁচ মিনিটে ঠিক কী ঘটে, সেটা খুব ভালোভাবে বুঝি। যারা ওপেনিং করেছে, তারাই জানে সেই সময়টা কতটা দুশ্চিন্তার হয়। আমি আগেও ওকে (গিল) উত্তেজিত হতে দেখেছি। আমরা শেষ ৬ মিনিটে ২ ওভার করতেই চেয়েছিলাম। এটা তো সোজা হিসেব, যে কোনো দলই এমন পরিস্থিতিতে ২ ওভার করবেই।'
'শেষের ওই মুহূর্তটায় একটু নাটকীয়তা থাকেই। সারাদিন ফিল্ডিং করার পর, যদি কোনো ব্যাটারকে ২ ওভার ব্যাট করতে হয়, সেটা খুবই কঠিন। আমরা আশা করছিলাম, ওখানে একটা উইকেট তুলে নিতে পারব। দিনের শেষে যদি একটা উইকেট পেতাম, তাহলে সেটাই হতো আমাদের জন্য আদর্শ। তবে উইকেট না পেলেও আমরা মোটিভেটেড থাকতামই। এখন দুই দলেরই স্কোর শূন্য, নতুন করে শুরু করার মতো অবস্থা।'