এমন বিপর্যয়ের ব্যাখ্যা নেই, এটা লজ্জাজনক: মোসাদ্দেক
.jpeg)
ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশের প্রস্তুতির ঘাটতি ছিল, মানছেন সালাহউদ্দিনও
২৬ ফেব্রুয়ারি ২৫
খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ওপেনিং জুটিতেই উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল দুর্দান্ত ঢাকা। সাইম আইয়ুব ও নাইম শেখ মিলে তুলেছিলেন ৭৫ রান। এমন সময় উঁকি দিচ্ছিল বড় রানের স্বপ্ন। তবে নাটকীয় ধসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ঢাকার ইনিংস থেমেছে ৯ উইকেটে ১৩০ রান করে।
এই লক্ষ্য ১০ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে গেছে খুলনা। ২১ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৪১ রান করা নাইম বিদায় নেয়ার পরই হুরমুরিয়ে ভেঙে পড়ে ঢাকার ইনিংস। নাইমের ওপেনিং সঙ্গী সাইম করেন ৩৭ বলে করেছেন ৩৫ রান। এরপর বাকি ব্যাটাররা ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে।
ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও। তিনি আউট হয়েছেন শূন্য রানে। একপ্রান্ত আগলে রেখে অ্যালেক্স রস ২১ ও শেষদিকে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকা আরাফাত সানি ছাড়া আর কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি। এমন ব্যর্থতার কোনো ব্যাখ্যা নেই ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেকের কাছে।

লজ্জাজনক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, 'এটার কোনো ব্যাখ্যা নেই। এটা লজ্জাজনক ব্যাপার আমাদের জন্য। এরকম একটা শুরুর পর আমরা আশা করছিলাম ১৮০-১৯০ হবে। ওই জায়গা থেকে ৫০ রানের মধ্যে অল আউট হয়ে যাওয়া আমাদের জন্য হতাশাজনক ব্যাপার।'
আবাহনীকে নাহিদ রানা একাই জিতিয়ে দেবেন, আশাবাদী মোসাদ্দেক
২৫ ফেব্রুয়ারি ২৫
এমন ম্যাচে বোলারদের কিছুই করার ছিল না বলে মনে করেন মোসাদ্দেক। উইকেট থেকে কোনো ধরনের সুবিধা পাননি বোলাররা। মোসাদ্দেক মনে করেন এমন ভালো উইকেট পেয়েও কাজে লাগাতে না পারায় ব্যর্থতার দায় ব্যাটারদের কাঁধেই। অবশ্য তিনি আশাবাদী এখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে।
মোসাদ্দেক বলেন, 'একটু তো হতাশার, বিশেষ করে আজকের ম্যাচের কথা যদি বলি এতো ভালো একটা শুরু পাওয়ার পরে অল আউট হয়ে যাওয়া এখানে বোলারদের করার কিছুই থাকে না। ভালো উইকেট, বলও কিছু হচ্ছিল না। সহজ ছিল ব্যাটিং করা। সহজ পরিস্থিতিতে আমরা ব্যাটিং করতে পারিনি। অবশ্যই এটা হতাশাজনক ব্যাপার। আরও ৮টা ম্যাচ বাকি আছে আশা করি এখান থেকে আমরা ঘুরে দাঁড়াব।'
মোসাদ্দেক নিজেও ব্যাট হাতে ফর্মে নেই এবারের বিপিএলে। চার ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে মোটে ১৬ রান। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ১*, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে শূন্য, রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ১৫ রান করার পর এই ম্যাচে আবারও শূন্য হাতে ফিরেছেন তিনি।
ব্যাট হাতে ঘুরে দাঁড়ানোর আত্মবিশ্বাস নিয়ে ঢাকার অধিনায়ক বলেন, 'প্রত্যেকের খারাপ সময় যায়। ভালো খারাপ সময় মিলিয়ে যায়। একটানা এভাবে খারাপ যাবে আমি চিন্তা করিনি। আমি নিজেও হতাশ যে চেষ্টা করছি কত ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যায়। এখন সেই চেষ্টাটাই থাকবে।'