১০ উইকেটের জয়ে খুলনার চারে চার

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘একার খুশির চেয়ে সবার খুশিটা হলে ভালো হতো’
১৯ ফেব্রুয়ারি ২৪
সাইম আইয়ুব এবং নাইম শেখের দারুণ শুরু পেলেও সেটা ধরে রাখতে পারেনি দুর্দান্ত ঢাকা। মাঝে নিজেদের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে মাত্র ১৩০ রানের পুঁজি গড়ে তারা। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় খুলনা টাইগার্সকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন এভিন লুইস ও এনামুল হক বিজয়। ক্র্যাম্প নিয়ে লুইস মাঠের বাইরে গেলেও খুলনার ১০ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন বিজয় ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। তাতে করে টানা চার ম্যাচেই জয় পেলে বিজয়ের দল।
প্রথম ম্যাচ থেকেই ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে আছেন এভিন লুইস। খুলনাকে বড় রান তাড়ায় ভালো শুরু এনে দিতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারকুটে এই ব্যাটার। দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষেও আক্রমণাত্বক শুরু করেন লুইস। তবে ক্র্যাম্পের কারণে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। সাইড স্ট্রেইনে সমস্যা হওয়ায় চতুর্থ ওভারে মাঠে ফিজিও এনে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়ার পরও বেশিক্ষণ ব্যাটিং চালিয়ে যেতে পারেননি লুইস। পরের ওভারে শেষ পর্যন্ত মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় তাকে। রিটায়ার্ট হার্ট হয়ে ফেরার আগে ১৩ বলে ২৬ রান করেছেন তিনি। লুইস ফিরে গেলেও তিনে নামা আফিফকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন বিজয়। দারুণ ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরির দেখাও পেয়েছেন তিনি।
আরাফাত সানির বলে এক রান নিয়ে ৩৭ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন খুলনার অধিনায়ক। বিজয়কে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন আফিফ। দারুণ ব্যাটিংয়ে তিনিও খেলেছেন ২৭ বলে অপরাজিত ৩৭ রানের ইনিংস। হাফ সেঞ্চুরি করা বিজয় অপরাজিত ছিলেন ৫৮ রানে। এমন ব্যাটিংয়ে ঢাকাকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই সাবধানী ব্যাটিং করছেন ঢাকার দুই ওপেনার সাইম আইয়ুব এবং নাইম শেখ। মাঝে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করলেও খুব বেশি ফলপ্রসূ হয়নি। যদিও পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট হারায়নি তারা। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে নাইমকে ফেরানোর সুযোগ থাকলেও মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রের বলে দারুণ প্রচেষ্টার পরও ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি এনামুল হক বিজয়। প্রথম ৬ ওভার শেষ হওয়ার পরই অবশ্য ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন ঢাকার ওপেনাররা।
ইমপ্যাক্ট নয়, কে কত রান করেছে মানুষ এটাই দেখে: অঙ্কন
১৮ ফেব্রুয়ারি ২৫
যেখানে সবচেয়ে বেশি আক্রমণাত্বক ছিলেন নাইম। ইনিংসের নবম ওভারে বল হাতে তুলে নিয়েছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ডানহাতি এই অফ স্পিনারের সেই ওভারে দুই ছক্কা ও এক চার মারার পর আবারও উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন নাইম। অফ স্টাম্পের বাইরের ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে মিড অফের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সীমানার কাছে থাকা এভিন লুইসের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি। নাইম আউট হয়েছেন ২১ বলে ৪১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে।
নাইম ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাইমও। পরের ওভারে ওয়াসিম জুনিয়রের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে টপ এজ হয়ে বল সরাসরি মাথা বরাবর উপরে উঠে গেলে সেটা সহজেই লুফে নেন উইকেটকিপার বিজয়। তাতে উইকেটে থিতু হওয়া সাইম ফিরেছেন ৩৭ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলে। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি গুলবাদিন নাইব।
মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর অফ স্টাম্পের বাইরের বলে লং অনের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মোহাম্মদ নওয়াজের হাতে ধরা পড়েছেন ৩ রান করা এই ব্যাটার। একই ওভারে সাজঘরে ফিরেছেন ৩ রান করা এসএম মেহেরব। দলের রান একশ হওয়ার আগে আউট হয়েছেন ইরফান শুক্কুর। নওয়াজের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন ঢাকার উইকেটকিপার ব্যাটার। পরের ওভারে নওয়াজের বলে আউট হয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ঢাকার অধিনায়ক রানের খাতাই খুলতে পারেননি।
তাতে করে ভালো শুরুর পরও ২১ রানের ব্যবধানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে ঢাকা। শেষ দিকে আরাফাত সানির অপরাজিত ১৫ এবং অ্যালেক্স রসের ২১ রানের ইনিংসে ১৩০ রানের পুঁজি পেয়েছে তারা। খুলনার হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন নওয়াজ। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন ওয়াসিম জুনিয়র ও মুকিদুল মুগ্ধ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দুর্দান্ত ঢাকা- ১৩০/৯ (১৪ ওভার) (সাইম ৩৫, নাইম ৪১, রস ২১, সানি ১৫*)
খুলনা টাইগার্স- ১৩১/০ (১৪.৪ ওভার) (লুইস ২৬*, বিজয় ৫৮*, আফিফ ৩৭*)