বিশ্বকে দেখাতে চেয়েছিলাম আমরা ‘অকেজো’ নই: ব্র্যাথওয়েট

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পরিসংখ্যান গুরুত্বপূর্ণ নয়, এগুলো বিশ্লেষণ করা আপনাদের কাজ: কোহলি
৫ মার্চ ২৫
দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অথচ সেই দলটিই কিনা গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলতে ব্যর্থ হয়েছিল। এমনকি বড় দলের বিপক্ষেও পাচ্ছিলো না সফলতা। সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের এমন দশা হতাশ করেছে অনেককেই। তাই সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার রডনি হগ মন্তব্য করেছিলেন ক্যারিবিয়ানরা এখন 'দুঃখী এবং অকেজো'। এবার ২৭ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট জয়ের পর এর জবাব দিলেন অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবশেষ ২০০৩ সালে জয়ের দেখা পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে শেষবার তাদের হারায় ২৭ বছর আগে। তাই অস্ট্রেলিয়ার পা রেখে ব্র্যাথওয়েটের প্রথম লক্ষ্য ছিলো অন্তত একটি জয় নিয়ে ক্যারিবিয়ান মানুষদের গর্বিত করা। ব্রিসবেন টেস্টে সেটাই করে দেখাল তার দল। শামার জোসেফের বোলিং তোপে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ রানে হারায় তারা।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার জয় নিয়ে ব্র্যাথওয়েট বলেন, 'আমরা অস্ট্রেলিয়ায় একটি টেস্ট ম্যাচ জিতেছি। এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের জন্য অনেক বড় ব্যাপার। এটা আমাদের কাছে অনেক কিছু। এখানে আমরা টেস্ট জিততে পারি না অনেক বছর হয়েছে। কিন্ত দলের কাছে আমার বার্তা হলো; এটা কেবলই শুরু। এটা অসাধারণ ছিল। আমরা এটা উপভোগ করছি। কিন্তু আমাদের এটা চালিয়ে যেতে হবে। আমি (দল নিয়ে) অত্যন্ত গর্বিত।'
অবশ্য তারুণ্য নির্ভর দল হওয়ায় কাজটা মোটেও সহজ ছিলো না ব্র্যাথওয়েটদের। যেখানে দলে নেই জেসন হোল্ডার ও কাইল মেয়ার্সদের মত ক্রিকেটাররা। কিন্তু ব্র্যাথওয়েটের বিশ্বাস ছিল তার দল ভালো কিছু করতে পারবে। কিন্তু সিরিজের প্রথম টেস্টে বাজে ভাবে হারে তার দল। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টে দারুণ ভাবে লড়াইয়ে ফেরে ক্যারিবীয়ানরা।
জশুয়া দা সিলভা, কেভিন সিনক্লেয়ারদের ব্যাটে ভর করেই অস্ট্রেলিয়াকে ২১৬ রানের লক্ষ্য দেয় ক্যারিবিয়ানরা। এরপর বল হাতে ৭ উইকেট তুলে নেন শামার। তাতে করেই দীর্ঘ প্রতীক্ষার জয় পায় ব্র্যাথওয়েটরা। তবে এমন জয়ের পিছনে সবথেকে বড় ভূমিকা ছিলো রডনি হগের সেই মন্তব্য। ম্যাচ শেষে এমনটাই জানিয়েছেন দলটির অধিনায়ক। তার করা সেই মন্তব্যের জবাবও দিয়েছেন তিনি।
ম্যাচ শেষে ব্র্যাথওয়েট জানান, 'আমি অবশ্যই বলতে চাই যে আমাদের কাছে দুটি শব্দ ছিল, যা আমাদের (ম্যাচ জয়ে) অনুপ্রাণিত করেছিল। মিঃ রডনি হগ বলেছিলেন যে আমরা 'দুঃখী এবং অকেজো'। আর এটাই ছিলো আমাদের অনুপ্রেরণা। আমরা বিশ্বকে দেখাতে চেয়েছিলাম যে আমরা 'অকেজো' নই। আমাকে অবশ্যই তাকে জিজ্ঞাসা করতে হবে, এই পেশীগুলো (নিজের পেশি দেখিয়ে) কি তার জন্য যথেষ্ট বড়।'