পায়ে ব্যথা নিয়েই ব্রিসবেনে ইতিহাসের পাতায় শামার

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
শামার-সিলসের তোপে প্রথম দিনেই অল আউট অস্ট্রেলিয়া
১৬ ঘন্টা আগে
ব্রিসবেন টেস্টের দ্বিতীয় দিন মিচেল স্টার্কের ইয়র্কার ডেলিভারিতে পায়ে আঘাত পান শামার জোসেফ। সেই ব্যথা চতুর্থ দিন সকালেও ভোগাচ্ছিল তাকে। কিন্তু দলের চিকিৎসকের পরামর্শে ইনজেকশন নিয়ে মাঠে নামেন এই পেসার। আর তিনিই নিলেন ৬৮ রানে ৭ উইকেট। তাতে করেই ২১ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ব্রিজবেন টেস্ট জিততে চতুর্থ দিন অস্ট্রেলিয়ায় প্রয়োজন ছিল ১৫৬ রান। অপরদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ৮ উইকেট। এমন দিনে দলের অন্যতম সেরা পেসারকে পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ দিন সকালে দলের চিকিৎসককে নিজের ব্যথার কথা জানান শামার। কিন্তু চিকিৎসক তাকে অভয় দিয়ে মাঠে নামার পরামর্শ দেন।

ম্যাচ শেষে শামার বলেন, 'আজ সকালে ডাক্তার আমাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, এখন আমি কেমন অনুভব করছি। তখন আমি তাকে জানাই আমার খুব ব্যথা হচ্ছে। কিন্তু তিনি আমাকে মাঠে নামার পরামর্শ দিয়েছেন এবং তার (চিকিৎসক) বিশ্বাস ছিল যে আমি এটা করতে পারব। আর যখন আমি পাঁচ উইকেট নিয়েছিলাম (আমার চোখে) আনন্দ ও জয়ের অশ্রু ছিলো।'
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলা হচ্ছে না জনসন-হ্যাজেলউডের
১২ জুলাই ২৫
চিকিৎসকের বিশ্বাসের প্রতিদান মাঠে দিয়েছেন শামার। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং অর্ডারে একাই ধস নামিয়েছেন তিনি। তার বোলিং তোপেই মাত্র ২৩ রানের ব্যবধানে ক্যামরন গ্রিন, ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ ও অ্যালেক্স ক্যারিকে হারায় স্বাগতিকরা। অবশ্য এখানেই থামেননি তিনি। স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সকেও ফেরান তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার শেষ উইকেটেও যায় তার পকেটেই। জশ হ্যাজলউডকে বোল্ড করে নিজের সপ্তম উইকেট তুলে নেন শামার। ফলে ২৭ বছর পর আস্ট্রেলিয়া মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পায় ক্যারিবীয়ানরা। অবশ্য এমন কীর্তি শামার গড়েছেন ইনজেকশন নিয়ে। ম্যাচ শেষ দল দলটির অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট এমনটাই জানান।
শামারকে নিয়ে ব্র্যাথওয়েট বলেন, 'খেলার এক ঘণ্টা আগে আমি জানতে পারি শামারকে আমরা পাচ্ছি। চিকিৎসক আমাকে বলেছিলেন সে (শামার) একটি ইনজেকশ??? নিয়েছেন, এবং সে এখন বেশ ভালো আছেন ও খেলতে যাচ্ছেন। আমার এটাকে সমর্থন করতে হয়েছে। সে (শামার) একজন সুপারস্টার। আমি জানি সে ভবিষ্যতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য দারুণ কিছু করবে।'