বাজবলকে জবাব দিতে ভারতের আছে বিরাটবল: গাভাস্কার

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পাকিস্তান নিয়ে গাভাস্কারের মন্তব্যকে ‘ফালতু কথা’ বলছেন গিলেস্পি
৮ মার্চ ২৫
টেস্ট ক্রিকেটকে এক নতুন রূপ দিয়েছে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও বেন স্টোকসের ইংল্যান্ড। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে আক্রমণাত্মক মনোভাবে খেলা এই ধরণের নাম ‘বাজবল’। আসন্ন ভারত সিরিজেও এমন মনোভাব নিয়ে খেলার বার্তা দিয়েছে ইংলিশরা। সেটাকে অবশ্য জবাব দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। সুনীল গাভাস্কার মনে করেন, ইংল্যান্ডের বাজবলকে টেক্কা দেয়ার জন্য আছে ভারতের বিরাটবল।
আগামী ২৫ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ভারত-ইংল্যান্ডের টেস্ট মহারণ। ভারতের স্পিনারদের সঙ্গে স্টোকসের দলের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারেন বিরাট কোহলি। সবশেষ বিশ্বকাপ থেকেই দারুণ ছন্দে আছেন তিনি। সাউথ আফ্রিকায় প্রত্যাশা মেটাতে না পারলেও হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার। কোহলিকে দিয়ে ইংল্যান্ডের বাজবলকে মোকাবেলা করা হবে বলে জানান গাভাস্কার।

স্টার স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপকালে গাভাস্কার বলেন, ‘একজন ব্যাটারের হাফ সেঞ্চুরি থেকে সেঞ্চুরির সংখ্যা বেশি। মানে তার বড় ইনিংস খেলার দক্ষতা রয়েছে। ইনিংসকে পূর্ণতা দেওয়ার ক্ষমতা তার বেশি। এখন কোহলি যেভাবে ব্যাটিং করছে, বোঝাই যাচ্ছে সে ফর্মে রয়েছে। তার মুভমেন্টও বেশ ভাল হচ্ছে। অর্থাৎ বাজবল মোকাবেলা করার জন্য আমাদের আছে বিরাটবল।’
‘স্টোকসকে অধিনায়ক হিসেবে বিবেচনা না করা হবে বোকামি’
৭ মার্চ ২৫
সাদা পোশাকের ক্রিকেটে কোহলির পরিসংখ্যানও বেশ দারুণ। এখন পর্যন্ত ১১৩ টেস্টে ৮ হাজার ৮৪৮ রান করেছেন। যেখানে ৩০টি হাফ সেঞ্চুরি বিপরীতে করেছেন ২৯ সেঞ্চুরি। সবশেষ সাউথ আফ্রিকা সফরেও ভারতীয় ব্যাটাররা যখন রান খরায় ভুগছিলেন, তখন উইকেটের অন্য পাশে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি।
তাই ইংল্যান্ডের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। তবে ভারতের স্পিন উইকেটে ইংলিশ ব্যাটাররা সফল হতে পারবে কি না, এটা একটা বড় প্রশ্ন। গাভাস্কারও অপেক্ষায় আছেন বাজবলের লড়াই দেখার জন্য। ভারতের স্পিনারদের বিপক্ষে বাজবল কতটা কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে সেটা দেখতেই মুখিয়ে আছেন এই সাবেক ক্রিকেটার।
ভারতের মাটিতে বাজবল দেখতে মুখিয়ে থাকা গাভাস্কার বলেন, ‘গত এক-দুবছরে ইংল্যান্ড টেস্ট ক্রিকেটে নতুন ধরন রপ্ত করেছে। তারা আক্রমণাত্মক ক্রিকেটে খেলছে, যেখানে ব্যাটাররা দ্রুত রান তুলতে চায়। ম্যাচের পরিস্থিতি যেমনই হোক তারা আক্রমণাত্মক ক্রিকেটই খেলছে। তাদের এই পদ্ধতি ভারতের স্পিনারদের বিরুদ্ধে কার্যকর হয় কি না, সেটা দেখতে পারাটা বেশ আকর্ষণীয় হবে।’