মাউন্ট মঙ্গানুইতে সুখ স্মৃতির খোঁজে থাকবে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নাম সরিয়ে নিলেন মাহমুদউল্লাহ, 'বি' ক্যাটাগরিতে মুশফিক
১০ মার্চ ২৫
প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে উইকেট এনে দিয়েছিলেন শেখ মেহেদী। এরপর আরও একটি উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান কিউইদের রানের চাকা বেধে রাখতে বড় ভূমিকা রেখেছেন এই অফ স্পিনার। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে অপরাজিত ১৯ রানের ইনিংস খেলে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।
টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রথম ওভারেই মেহেদীর হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়ককে নিরাশ করেননি ডানহাতি এই অফ স্পিনার। নিজের চতুর্থ বলেই কিউই ওপেনার সেইফার্টের উইকেট নিয়েছিলেন মেহেদী। এরপর শরিফুল ইসলামের জোড়া উইকেটে চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড।
ম্যাচ শেষে মেহেদী জানিয়েছেন নতুন বলে বোলিংয়ের অভ্যাস রয়েছে তার। এটায় কোনো চ্যালেঞ্জ ছিল না। মেহেদী বলেন, 'না, দেখেন চ্যালেঞ্জিং না। আমি টি-টোয়েন্টিতে তো প্রথম ওভার করতে অভ্যস্তই। এটা চ্যালেঞ্জিং না আমার কাছে সেটা যে কন্ডিশনে হোক। আমার কাজ বল করা সেটা যেখানেই হোক করতে হবে। আসলে এটা টিম ম্যানেজম্যান্ট আমার ওপর বিশ্বাস করেছে এজন্য প্রথম ওভার দিছে। সেটা যে কন্ডিশনেই হোক আমাকে করতে হবে।'

এই ম্যাচে বাংলাদেশের পেসাররাও দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। শরিফুল একাই নিয়েছেন ৩ উইকেট। দুটি উইকেট পেয়েছেন দুটি উইকেট পেয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমানও। মেহেদী মনে করেন দল জিততে দলে সবার পারফরম্যান্সই সমান গুরুত্বপূর্ণ। সব মিলিয়ে কিউইদের অল্প রানে আটকে রাখাটাই সবচেয়ে জরুরী ছিল।
অশ্বিনের চোখে বরুণই ছিলেন টুর্নামেন্ট সেরা
১১ মার্চ ২৫
নিজেদের বোলিং আক্রমণ নিয়ে মেহেদী বলেন, 'আমাদের পেস বোলার মাশাআল্লাহ সবাই ভালো করছে। একটা দল জিততে হলে আসলে সবার পারফরম্যান্স গুরুত্বপূর্ণ। এক দুই জনের পারফরম্যান্স গুরুত্বপূর্ণ না। টিম ওয়াইজ গেম, টিমের পারফর্ম ছোটখাটো সবাই কমবেশি করে। আলহামদুলিল্লাহ আমরা স্পিনাররা ভালো বোলিং করেছি, পেস বোলাররা ভালো বল করেছে। এজন্য হয়তো কম রানে আটকাতে পারছি, আমরা জিতছি।'
মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু পায়নি বাংলাদেশ। তবে লিটন ও শান্ত বেশ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছিলেন শুরুর ধাক্কা। এরপর লিটন-সৌম্য মিলে বাংলাদেশের রানের চাকা সচল রেখেছেন। সৌম্য ফিরে গেলে লিটন একপ্রান্ত আগলে রেখে তাওহীদ হৃদয় ও মেহেদীকে নিয়ে বাকি কাজটা সেরেছেন। মেহেদী জানালেন তাদের দ্রুত বেশ কয়েকটি উইকেট হারালেও ছোটো ছোটো জুটি গড়ে রান সচল রাখা।
মেহেদী বলেছেন, 'যেহেতু লিটন লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং করছিল, ও আসলে উইকেট ও ম্যাচ সম্পর্কে ভালো আইডিয়া হয়ে গেছে। হয়তো এই ম্যাচটা জিততে হলে আরও ছোট একটা জুটি হলে দলের জন্য ভালো। আমাদের ভালো জুটি হচ্ছিল, কিন্তু মাঝখানে দুই তিনটা ব্রেক থ্রু চলে গেছে। ওখান থেকে লিটন বলছিল ইতিবাচক থাকতে। জাস্ট নরমালি যা হবে শেষ দুই ওভারে দেখা যাবে। শুধু এভাবে কথা বলে আমরা খেলছিলাম।'
গত বছরই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও সেখানেই। মেহেদীও তাই সুখ স্মৃতির প্রত্যাশায় আছেন, 'আমরা তাকিয়ে আছি। মাউন্ট মঙ্গুনইতে টেস্টে আমাদের অনেক ভালো সুখস্মৃতি আছে। এজন্য টি-টোয়েন্টিতে ভালো প্রতিদ্বন্দ্বীতার সম্ভাবনা দেখছি পরের দুই ম্যাচে।'