স্টার্ক, কামিন্সদের চড়া দাম দেখে অবাক ডি ভিলিয়ার্স

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘বাংলাদেশ নক আউটে যাওয়ার মতো দল না’, বলছেন ভিলিয়ার্স
১৫ ফেব্রুয়ারি ২৫
অস্ট্রেলিয়ার ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ে দারুণ ভূমিকা রেখেছিলেন অজি পেসার প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ক। ফলে আসন্ন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নিলামে চাহিদার শীর্ষে থাকবেন তারা, সেটা বেশ অনুমেয়ই ছিল। সেখানে দুই অজি পেসার রীতিমতো নিলামে ঝড় তুলেছেন। সবশেষ দুজনই রেকর্ড দামে বিক্রি হয়েছেন। দুই পেসারের এমন দাম অবাক করেছে এবি ডি ভিলিয়ার্সকে।
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট মানেই অর্থের ঝনঝনানি। সেখানে আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে দল সাজাতে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো রীতিমত প্রতি মৌসুমেই রেকর্ড তৈরি করে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সদ্য শেষ হওয়া নিলামে বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কামিন্সকে রেকর্ড ২০ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে কিনে নিয়ে সবাইকে চমকে দেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।

এর কিছুক্ষণ পরই সেই রেকর্ড ভাঙেন স্টার্ক। গুজরাট টাইটান্সের সঙ্গে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে স্টার্ককে দলে টেনেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তাতে করে বিশ্বকাপজয়ী স্টার্কই এখন আইপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার। কিন্তু তাদের এমন চড়া দাম দেখে সাবেক প্রোটিয়া ব্যাটার ডি ভিলিয়ার্স বেশ অবাক হয়েছেন।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে না খেলার কারণ খোলাসা করলেন স্টার্ক
২৭ ফেব্রুয়ারি ২৫
তিনি বলেন, ‘আমি একমত হতে পারিনি। কিছু স্মার্ট কেনাকাটা. মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, চেন্নাই সুপার কিংস এবং অন্যান্য দল যারা আইপিএলে ভালো করে তারা নিলামেও ভালো করেছে। তারা আবেগী কেনাকাটা না করে স্মার্ট কেনাকাটা করে। কামিন্স এবং স্টার্ক, দুজনই অবিশ্বাস্য খেলোয়াড়, কিন্তু সত্যিই কি সেই দামের জন্য? এটা শুধু আপনার চাহিদাকে দেখায়. এই বছরের নিলামে ফাস্ট বোলারদের চাহিদা বেশি ছিল এবং চাহিদা বাড়লে দাম বেড়ে যায়।’
আইপিএলের আসন্ন মৌসুমের দল সাজানোর জন্য কলকাতারা ঝুলিতে ছিল ৩২.৭ কোটি রুপি। যার ৭৫.৬৯ শতাংশ অর্থ তারা ব্যয় করেছে স্টার্ককে দলে ভেড়াতে। নিলামে এমন চড়া দামে বিক্রি হওয়ায় স্টার্ক ও তার স্ত্রীও বেশ অবাক হয়েছেন। গতকাল স্টার স্পোর্টসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান তিনি।
নিলামে চড়া দামে বিক্রি হওয়ার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে স্টার্ক বলেন, ‘এটা বেশ চমৎকার ছিল। যখন নিলাম শুরু হয়, তখন আমি ডিনার করছিলাম। শুরুতে প্যাট কামিন্স ছাড়াও অন্যান্য তারকাদের নিলাম খুব উপভোগ করি। অপেক্ষায় ছিলাম আমার নাম আসার জন্য। অবশেষে, আমার নিলাম শুরু হয়, তবে এতটা দাম উঠবে সেটা ভাবিনি। আমি ও আমার স্ত্রী অবাক হয়েছি।’