অধিনায়ক হওয়ার শর্ত দিয়েই মুম্বাইয়ে এসেছেন হার্দিক

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আমি নিজের চেয়ে দলকে সবসময় ওপরে রাখি: হার্দিক
১০ মার্চ ২৫
আইপিএলের ‘ট্রেডিং উইন্ডো’ কাজে লাগিয়ে কদিন আগে গুজরাট টাইটান্স থেকে হার্দিক পান্ডিয়াকে দলে নিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। নিজের পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজিতে ফিরেই অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন ৩০ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। হার্দিক দায়িত্ব নেয়ায় শেষ হয়েছে রোহিত শর্মার ১০ বছরের পথ যাত্রা। নিজেদের ইতিহাসের সেরা অধিনায়ককে সরিয়ে দেয়ায় মুম্বাইয়ের সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছেন অনেকে। তবে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, এটা নাকি হবারই ছিল। কারণ অধিনায়ক হবেন এমন শর্ত দিয়েই নাকি মুম্বাইয়ে ফিরেছেন হার্দিক।
২০১৫ সালে মুম্বাইয়ের হয়ে আইপিএলে অভিষেক হয়েছিল হার্দিকের। ২০২১ সালের আগ পর্যন্ত সব নিলামের আগে রিটেইন করলেও ২০২২ সালের মেগা নিলামের আগে হার্দিককে ছেড়ে দেয় মুম্বাই। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সরাসরি চুক্তিতে রশিদ খান, শুভমান গিলের সঙ্গে হার্দিককে দলে নিয়েছিল গুজরাট।

নতুন এই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে প্রথম মৌসুমেই বাজিমাত করেন হার্দিক। অভিষেক মৌসুমেই শিরোপা জেতে গুজরাট। পরের মৌসুমেও ফাইনালেও উঠেছিল তারা। যদিও চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরে শিরোপা খোয়াতে হয় গুজরাটকে। দুই মৌসুমে গুজরাটের হয়ে ৩০ ইনিংস ব্যাটিং করেছেন হার্দিক। যেখানে ৪১.৬৫ গড় এবং ১৩৩.৪৯ স্ট্রাইক রেটে ৮৩৩ রান করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ব্যাটারদের সেরা পাঁচে ভারতের ৩
১৯ ঘন্টা আগে
দুই মৌসুম বাদে নিজেদের ঘরের ক্রিকেটারকে ফিরিয়েছে মুম্বাই। দলে নিয়ে তাকে অধিনায়কের দায়িত্বও দিয়েছে তারা। ভারতের একটি জাতীয় দৈনিকের ঘনিষ্ঠ সূত্রের মতে, মুম্বাইয়ে আসার আগে দলটিকে এমন শর্ত জুড়ে দিয়েছিলেন যে কেবল অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব পেলেই তিনি গুজরাট ছেড়ে আসবেন। প্রতিবেদনটিতে আরও জানানো হয়েছে, হার্দিকের এমন শর্তের পর রোহিতের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করে মুম্বাই।
রোহিতকে নিজেদের রোডম্যাপ এবং অধিনায়ক পরিবর্তন নিয়ে অবহিত করা হলেও তিনি হার্দিকের অধীনে খেলতে রাজি হওয়ার আগেই ঘোষণা দিয়ে দেয় মুম্বাই। রোহিতকে সরিয়ে দেয়ায় টুইটার, ইনস্টাগ্রাম মিলে ইতোমধ্যে ৮ লাখ অনুসারী হারিয়েছে ৫ বারের চ্যাম্পিয়নরা। এমনকি তাদেরকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করছেন সমর্থকরা।
আইপিএল এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টিতে মুম্বাইকে ১৬৩ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন রোহিত। যেখানে ৯১ ম্যাচে জয় পেয়েছেন তিনি। চারটি ম্যাচ টাই হওয়ার পাশাপাশি হেরেছেন ৬৮ ম্যাচে। রোহিতের সময়ে ২০১৩, ২০১৫, ২০১৭, ২০১৯ এবং ২০২০ সালে ফাইনাল খেলেছে মুম্বাই।
যার সবকটিতেই জিতেছে তারা। সবশেষ তিন মৌসুম অবশ্য ভালো যায়নি মুম্বাইয়ের। ২০২১ এবং ২০২২ সালে শেষ চারেই উঠতে পারেনি পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। ২০২২ সালে প্লে অফে জায়গা করে নিলেও দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে গুজরাটের কাছে হেরেছে মুম্বাই।