মামুনের সেঞ্চুরির পর ড্র করে নায়ক মঈন-সুমন

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
এপ্রিল-মে মাসে বিসিএল, টুর্নামেন্ট হবে গোলাপি বলে
১০ মার্চ ২৫
ম্যাচ জয়ের দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিল নর্থ জোন। তারা দিনের ২৫ ওভার বাকি থাকতেই ৮ উইকেট তুলে নিয়েছিল সাউথ জোনের। তবে বাকি দুই উইকেট আর নিতে পারেনি আকবর আলীর দল। ফলে ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।
এ নিয়ে দ্বিতীয় ড্রয়ের মুখ দেখল দুই দলই। দুই দলই চারটি করে পয়েন্ট পেয়েছে এখনও পর্যন্ত। প্রথম ইনিংসে ২১৯ রানে অল আউট হয়েছিল নর্থ জোন। জবাবে খেলতে নেমে ২৪৩ রানে থামে সাউথ জোনের ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে আরও বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় নর্থ জোন।
তারা ৭ উইকেটে ৩৪৫ রান তুলে নিজেদের ইনিংস ঘোষণা করে। জবাবে খেলতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল সাউথ জোন। ৩২২ রানের বিশাল লক্ষ্য পেয়ে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেট হারালেও ১৭২ রান করে দিনের খেলা শেষ করে তারা।

চতুর্থ দিন ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান নিয়ে ব্যাটিং করতে নামে নর্থ জোন। দিনের শুরুতেই তারা হারায় ৬২ রান করা আকবরের উইকেট। বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি সাব্বির রহমান ও আমিনুল ইসলামরা। যদিও একপ্রান্ত আগলে খেলেছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি ৯৬ বলে প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন। শেষদিকে নাহিদুল ইসলাম ১৩ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলে আউট হয়ে গেলে ইনিংস ঘোষণা করে নর্থ জোন। মামুন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২৫৮ বলে ১১৭ রান করে। ৬টি ছক্কা ও ৫টি চারে এই ইনিংস সাজিয়েছেন মামুন।
পাঁচ ঘণ্টা হাতে রেখে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই পিনাক ঘোষকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে সাউথ জোন। মাত্র ২১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে হারের প্রহর গোনা শুরু করে দিয়েছিল দলটি। দলীয় ৫৭ রানে মেহেদী হাসান ফিরে গেলে আরও বড় ধাক্কা খায় দলটি।
এরপর প্রান্তিক নওরোজ নাবিল ও মার্শাল আইয়ুব মিলে দলের হাল ধরেন। নাবিল ৪২ রান করে আউট হলেও হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মার্শাল। ভালো শুরুর পর দুজনের কেউই থিতু হতে পারেননি। যদিও অষ্টম উইকেটে মঈন খান ও সুমন খানের ১৪৯ বলে ৩৮ রানের লড়াকু জুটিতে হার এড়ায় সাউথ জোন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটের সঙ্গে প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট আর প্রথম ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার পেয়েছেন নাহিদুল। এ ছাড়া দ্বিতীয় ইনিংসে একটি করে উইকেট নিয়েছেন ইয়াসিন আরাফাত, হাসান মুরাদ ও এনামুল হক জুনিয়র।